প্রতীম দে ও অরিজিৎ মণ্ডল
সমাজকে জানার জন্যই দরকার তথ্য। দরকার সমীক্ষা। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বা রাজ্যের তৃণমূল সরকার এই তথ্য প্রকাশের কাজটিই চেপে দিয়েছে। বিকল্প চিন্তার লড়াইয়ে শামিল সব অংশের পক্ষেই গবেষণা ও সমীক্ষার উদ্যোগ জরুরি।
শুক্রবার জ্যোতি বসু নগরে (নিউ টাউন) সমাজবিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিনই প্রকাশিত হয়েছে দু’টি গবেষণাপত্র। তার প্রকাশ করে অধ্যাপিকা ঈশিতা মুখার্জিও উল্লেখ করেন যে কেন্দ্র বা রাজ্য, কোনও সরকারের তরফে সমীক্ষা এবং গবেষণা চালিয়ে তথ্য প্রকাশ করার উদ্যোগ নেই।
সেলিম বলেন, ‘‘আজ সব অংশের মানুষকে পথে নেমে লড়াই করতে হচ্ছে। তখন কেন এই কর্মসূচি, ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমাদের লড়াই করতে হবে। সত্য প্রকাশ করছে না কেন্দ্র বা রাজ্য। সঠিক গবেষণা দরকার।’’
তিনি বলেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের সময় একাধিক গবেষণা কেন্দ্রে তৈরি হয়েছিল। নেতাজির নামে, মৌলনা আজাদের নামে গবেষণা কেন্দ্র হয়েছে জ্যোতি বসুর উদ্যোগে। এখন সেই সব বিষয় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে না যা হওয়া জরুরি।’’
তিনি বলেন, ‘‘আধুনিক প্রযুক্তি কে ব্যবহার করে এই দুটি গবেষণা পত্র তৈরি করা হয়েছে।’’ সেলিম বলেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়াতে যখন গণতন্ত্রকে শেষ করা হচ্ছে। উগ্র দক্ষিণপন্থা সর্বত্র সেই প্রয়াস চালাচ্ছে। আমাদের আরো গভীরে যেতে হবে, জানতে হবে সমাজের চিত্র। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের লড়াইয়ের সঙ্গে জ্যোতি বসু সমাজবিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্র সে কারণেই জরুরি। সেই কাজ এই কেন্দ্র করবে।’’
এদিন এই কেন্দ্রের সম্পাদক রবীন দেব জানান যে জ্যোতি বসুর নামে মেট্রো স্টেশনের দাবি জানানো হয়েছে। সিপিআই(এম) সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য সেই দাবিতে চিঠি দিয়েছেন যাতে বিমানবন্দর গামী মেট্রোর পথে একটি স্টেশন জ্যোতি বসুর নামে হয়।’’
এদিনও গবেষণা কেন্দ্রের জন্য অর্থসাহায্য জমা পড়েছে। সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটি দিয়েছে ২ লক্ষ টাকা। দিলীপ দাস দিয়েছেন ১ লক্ষ টাকা।
Comments :0