Murder

মুক্তিপণ চাওয়ার পর খুন ছাত্র

রাজ্য জেলা কলকাতা

ডাক্তারি পড়ুয়াকে খুন করে দেহ সুটকেসে বন্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটলো নিউ টাউনে। শুক্রবার সকালে গৌতম নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় এই দেহ।
মৃত যুবকের নাম সাজিদ হোসেন (১৯)। নিট পরীক্ষার জন্য সে নিউ টাউনের একটি বাড়িতে কয়েকজনের সাথে ভাড়া থাকতেন। এদিন সকালে সেই বাড়ি থেকেই তার দেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ছাত্রের বাবা মুক্তার হোসেন মালদহের বীরনগর হাইস্কুলের শিক্ষক।

ঘটনা নিউটাউনের তারুলিয়ায়। মৃর যুবক তার বন্ধুর বাড়ি ভাড়া থাকত বলে জানা যাচ্ছে। মৃতের নাম সাজিদ হোসেন। মাস খানেক আগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ডাক্তারির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। সেখানেই অন্য তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত গৌতম সিং। গৌতমের ঘর থেকেই আজ ওই যুবকের সুটকেসবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই গৌতম সিং এবং তার সহকারী পাপ্পু ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ।
পরিবারের সদস্যদের কথায় গত বুধবার রাতে থেকে সাজিদ মেসে না ফেরায় রুমমেটরা বাড়িতে খবর দেয়।বাড়ির লোকেরা থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। তার পরেই কিডন্যাপ হয়েছে বলে বাড়িতে তার বাবার কাছে ফোন আসে। শোনা যাচ্ছে যে, মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। তারপরই এদিন সকালে তার দেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেই সময়েই তারুলিয়া এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি মদের দোকান থেকে বেরোচ্ছে সাজিদ। সঙ্গে ছিল গৌতম সিংও। সেখান থেকেই প্রথমে গৌতম সিংকে চিহ্নিত করে পুলিশ এবং তারপর আটক করা হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে একটি রেস্তোরার মালিক গৌতম। তার রেস্তোরায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল সাজিদের। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, প্রথমে মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে সাজিদকে খুন করা হয়েছিল। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ব্যাগে ভরে মুখে সেলুটোপ জড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযুক্ত গৌতম ও পাপ্পুকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আরও দুই বন্ধু ও দুই বান্ধবীকে আটক করেছে পুলিশ।

মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, তিনি গোটা ঘটনা তার থেকে জেনেছেন এবং পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।

 

Comments :0

Login to leave a comment