Dhupguri

ধূপগুড়িতে জয়ী তৃণমূল

রাজ্য

ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে জয়ী হলো তৃণমুল। বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুতে এই ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। গত ৫ তারিখে ভোট হয়েছিল। বিজেপি’র হাতে থাকা এই আসনটি এবার দখল করলো তৃণমূল। 
শুক্রবার  সকালে  জলপাইগুড়ি  শহরে  ভোট  গণনার কাজ শুরু হয়। ২৬৮ টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার ভোট  হয়। তৃণমূল  পেয়েছে ৯৭,৬১৩ভোট। বিজেপি  পেয়েছে ৯৩,৩০৪ ভোট। ৪৩০৯ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি-কে পরাস্ত করে ধূপগুড়ি থেকে ফের বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠালো তৃণমূল। শতাংশের হিসাবে তৃণমুল পেয়েছে ৪৬.২৮, বিজেপি  ৪৪.২৩ শতাংশ। ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূল জিতেছিল। ২০২১’র ভোটে বিজেপি জয়ী হয়েছিল।
কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় পেয়েছেন ১৩,৭৫৮ভোট। শতাংশের বিচারে ৬.৫২। উপনির্বাচনে মোট ভোট পড়েছিল ২,১০,৯৩৫। এর মধ্যে পোস্টাল ভোট পড়েছিল ৭০৫ টি। তার মধ্যে সিপিআই(এম) প্রার্থী পেয়েছেন ৫৭টি ভোট। তৃণমূলের বাক্সে পড়ে ৩৩৯, বিজেপি পায় ২৯৬।  ২০১১ ’র ভোটে ধূপগুড়ি থেকে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআই(এম) প্রার্থী। ২০২১ সালের ভোটে ধূপগুড়ি কেন্দ্রে বামফ্রন্ট প্রার্থী পেয়েছিলেন ৫.৭ শতাংশ।
সেরকম বড় কোনও হিংসা, গন্ডগোলের ঘটনা ছাড়াই ধূপগুড়িতে নির্বিঘ্নে ভোট পর্ব মিটেছিল। তবে একই সঙ্গে ধূপগুড়ির মানুষ এই উপনির্বাচনের যে পরিমাণ টাকার স্রোত দেখেছেন তা অতীতে কখনোই দেখা যায়নি। তৃণমূল ও বিজেপি— দুই দলের হেভিওয়েট নেতা, রাজ্য ও কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রীরা ঘাঁটি গেড়েছিল। ভোটের কয়েকদিন আগেই শহর থেকে গ্রাম,চা-বাগান, বনবস্তি সর্বত্র দুই শাসক দলই কাঁচা টাকা উড়িয়েছিল। ভোটের দুদিন আগে আবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেই ভাইপো সাংসদ ঘোষণা করেন, ধূপগুড়িকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা করা হবে।
ভোট  গণনা শেষে সিপিআই(এম) প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণের রায় আমাদের মেনে নিতেই হবে। ভোটের প্রচার পর্বের সময় আমরা অনেক নতুন মানুষকে পাশে পেয়েছি। যন্ত্রণার কথা বলেছেন আমাদের কাছে, আমরা শুনেছি মানুষের অভিজ্ঞতা। ভোটে পরাজয় হয়েছে। আমরা জনগণের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। একই সঙ্গে দুই শাসকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের রুটিরুজির দাবিতে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।

Comments :0

Login to leave a comment