Turkey-Syria Earthquake

ভূমিকম্পে মৃত্যু ১১ হাজার ৭০০ ছাড়ালো

আন্তর্জাতিক

Turkey-Syria Earthquake


তুরস্ক এবং সিরিয়ায় উদ্ধারকারীরা বুধবার তীব্র ঠান্ডার সাথে লড়াই করছেন। ভূমিকম্পে ১১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যাওয়া এবং ধ্বংসস্তূপের নীচে বেঁচে থাকা মানুষগুলিকে খুঁজে বের করার জন্য। সীমান্ত এলাকায় ভূমিকম্পের কারণে আরও বেশি দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক দেশ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দ্রুত উদ্ধারকাজ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য। সেই সঙ্গে প্রবল ঠান্ডায় থেকে রক্ষা পেতে মানুষ রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ পোড়াচ্ছেন।

সরকারি ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত তুরস্কে ৯ হাজার ৫৭ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৬৬২ জন মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৯-এ পৌঁছেছে।
উদ্ধারকাজের সঙ্গে সঙ্গে কিছু অসাধারণ বেঁচে থাকার গল্প সামনে আসছে। উদ্ধারকারীরা একটি নবজাতক শিশুকে সিরিয়ার ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় বের করে এনেছেন। গত সোমবারের ভূমিকম্পে মারা যাওয়া শিশুটির মায়ের সাথে তার নাভি বাঁধা ছিলো।

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭০০ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হাজার হাজার বাড়িঘর ধ্বংস এবং অসংখ্য মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। তাদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মী কাজ করে চলেছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুরস্ক ও সিরিয়াতে ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গত সোমবার। ভূমিকম্পের পর পরই উদ্ধার কর্মীর উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। ধ্বংসস্তূপে আটক মানুষজনদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমেই কমে যাচ্ছে সেই কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে সেই আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। মৃতের তালিকায় রয়েছে শিশুরাও। ইতিমধ্যে একাধিক দেশ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দ্রুত উদ্ধারকাজ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থার জন্য।


তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের পর উদ্ধার অভিযান যত এগিয়ে যাচ্ছে ততই সামনে আসছে করুণ সব কাহিনী আর মানুষের রোমহর্ষক বেঁচে ফেরার গল্প। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারের কিছু দৃশ্য মানুষের হৃদয়ে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে এই দুদিনে। তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মেয়ে ইরমাকের হাত শুধু বের হয়ে রয়েছে। বাবা মেসুত হানসার সেই হাত ধরে বসে রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলাকালীন দেখা গেছে সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছিল সাত বছরের একটি মেয়ে ও তার ভাই। ছোট্ট ভাইয়ের মাথায় যেন কোনোভাবে ধ্বংসাবশেষ আঘাত করতে না পারে, সেজন্য নিজের হাত দিয়ে ভাইয়ের মাথা আগলে রেখেছে। সাত বছরের মেয়েটির নাম মরিয়ম। তার ভাইয়ের নাম ইলাফ। ভূমিকম্পের সময় দুজনে একসঙ্গে ঘুমোচ্ছিল। ভূমিকম্পের ৩৬ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই ভাইবোনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পে এখনো পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

উদ্ধারকর্মীরা দিনরাত এক করে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে ভূমিকম্পে অন্তত চার প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়ের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনো চাপা পড়ে আছে বহু খেলোয়াড়। একজন ভারতীয় নাগরিক নিখোঁজ।

Comments :0

Login to leave a comment