ছত্তিশগড়ের সাংবাদিক খুনের মূল অভিযুক্ত, যাঁর দেহ সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁর নিজের খুড়তুতো ভাই বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। রিতেশ চন্দ্রকর-সহ ২৮ বছরের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রিতেশ চন্দ্রকর-সহ তিনজনকে।
সম্প্রতি বস্তার অঞ্চলের গঙ্গালুর থেকে হিরোলি পর্যন্ত ১২০ কোটি টাকার একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ফাঁস করেছেন মুকেশ। প্রকল্পটি, যার প্রাথমিক দরপত্রের মূল্য ছিল ৫০ কোটি টাকা, কাজের পরিধিতে কোনও পরিবর্তন ছাড়াই এটি ১২০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। প্রকল্পটি ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকর পরিচালনা করছিলেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য সরকার তদন্ত শুরু করে, যা ওই অঞ্চলের ঠিকাদার লবিকে নাড়া দেয়। সুরেশ চন্দ্রকরের ভাই রীতেশ ১ জানুয়ারি রাতে মুকেশের সঙ্গে ঠিকাদারের বৈঠকের ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ। সাক্ষাতের পরেই মুকেশের ফোন অফলাইনে চলে যায় এবং তাঁর দাদা যুগেশ চন্দ্রকর তাঁর ভাই নিখোঁজ বলে অভিযোগ করেন।
দু’দিন পর ছত্তনপাড়ায় সুরেশের মালিকানাধীন একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ওই সাংবাদিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ রীতেশ এবং পরিবারের আরেক সদস্য দীনেশ চন্দ্রকর-সহ তিন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে দুর্নীতি কেলেঙ্কারির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা ঠিকাদার সুরেশ এখনও পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুকেশ ও রীতেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে, যে বাড়িতে সাংবাদিকের দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে প্রায়ই দেখা হত। তাদের আপাত ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও, মুকেশের কাজ সড়ক প্রকল্পে দুর্নীতি প্রকাশ করে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছিল।
মুকেশের পরিবারকে সরাসরি কোনও হুমকি দেওয়া না হলেও তদন্তের পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।
মামলাটি বস্তারের কুখ্যাত ঠিকাদার লবিকে ফাঁস করে দিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে প্রায়শই ভিন্নমত দমন করতে প্রভাব ও ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। এই অঞ্চলের সাংবাদিকরা, বিশেষ করে যারা দুর্নীতি কভার করেন, তারা প্রায়ই হয়রানি ও হুমকির শিকার হন।
Journo murder case
সাংবাদিক খুনের মূল অভিযুক্ত তাঁরই খুড়তুতো ভাই
×
Comments :0