রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ৩০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ট্রেন তৈরির খরচ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। আর ৩৫ বছর ধরে ট্রেনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অ্যালস্টম পাবে বাকি ১৭ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকার এবং ভারতীয় রেলের দাবি, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পকে জোরদার করা যাবে। যদিও ভারতীয় রেলের দেওয়া তথ্যের মাধ্যমেই সেই দাবি খারিজ হয়েছে। রেল জানিয়েছে, তাঁরা আশা করেছিলেন বন্দে ভারত তৈরির জন্য দরপত্র জমা দেবে সব মিলিয়ে ৫টি সংস্থা। কিন্তু জার্মান সংস্থা সিমেন্স এবং ভারতীয় সংস্থা বিইএমএল’র যৌথ অংশীদারিত্বে তৈরি সংস্থা, রাশিয়ার রেল প্রস্তুতকারী সংস্থা রাশিয়ান ট্র্যান্সমাশহোল্ডিং এবং রেল বিকাশ নিগম টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় নি। সূত্রের খবর, রেলের তরফে দাবি করা প্রযুক্তিগত কৌশল ভারতে নেই। তারফলেই দরপত্র জমা দেয়নি এই তিন সংস্থা।
এখনও অবধি ১০২টি বন্দে ভারত চেয়ার ট্রেন এবং ২০০টি স্লিপার ট্রেনের বরাত দিয়েছে ভারতীয় রেল। রেল জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বন্দে ভারতের স্লিপার কোচ চালুর চেষ্টা চলছে।
যদিও ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, বন্দে ভারত ট্রেনকে সামনে রেখে অবাধ বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে ভারতীয় রেল। এর আগে ৮০০টি ডাব্লিউএজি-১২ ইঞ্জিন তৈরির বরাতও পেয়েছিল ফরাসি সংস্থা অ্যালস্টম। বন্দে ভারত তৈরির বরাতও পেল বেসরকারী এই সংস্থা। অপরদিকে বারাণসী কিংবা চিত্তরঞ্জনে অবস্থিত রেলের ইঞ্জিন তৈরির কারখানাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এরফলে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প কতটা বাস্তবায়িত হল, সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
Comments :0