TWO WORKERS DIED

ওড়িশায় সেপটিক ট্যাঙ্ক সাফাইয়ে নেমে মৃত বীরভূমের দুই শ্রমিক

রাজ্য জেলা

TWO WORKERS DIED বীরভূমের নয়াগ্রামে হাহাকার মৃত শ্রমিকদের পরিবারে।

ওড়িশার রঘুনাথপুরে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে বাংলার দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের নাম সফিকুল শেখ (২২) ও গোলসানুর শেখ (১৮)। বীরভূমের পাইকর থানার নয়াগ্রামের বাসিন্দা তাঁরা। 

কয়েক মাস আগে তাঁরা ওড়িশায় গিয়েছিলেন কাজের খোঁজে। সাফাইকর্মীর কাজ শুরু করেন এই দুই জন। রঘুনাথপুর গ্রামে একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমেই মর্মান্তিক মৃত্যু হল তাঁদের। দেহ দুটি গ্রামে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মৃত দুই শ্রমিকের সহকর্মীরা জানাননির্মীয়মান বাড়িটির ঠিকাদার কাজ করার জন্য প্রথমে সাফিকুল সেখকে সেপটিক ট্যাঙ্কে নামতে বলেন। সফিকুল সেপটিক ট্যাঙ্কে নামা মাত্র অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করতে নামেন গোলশাহানুর শেখ। তিনিও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর সেখানে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকেরা তাঁদের উদ্ধার করতে এসে দেখেন দুজনেই মারা গিয়েছে। পুলিশে খবর দেন শ্রমিকরা। 

স্থানীয় ধাউলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুই শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওড়িশা পুলিশ দু’জনের দেহ ময়না তদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ, নয়াগ্রামে, মৃতদের বাড়িতে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। 

এর আগে বীরভূমের খয়রাশোলে সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাস দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাণ কাড়ছে শ্রমিকদের। গত পাঁচ বছরে সরকারের খাতায় তিনশোর বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত রয়েছে, যাঁরা সেপটিক ট্যাঙ্ক বা নিকাশী নালা পরিষ্কারের কাজে নেমেছিলেন। আইন অনুযায়ী মানুষের বর্জ্য হাতে করে ফেলার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা যায় না। তবে আইন সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতনতা নেই বলেই অভিমত সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আন্দোলনরত সমাজকর্মীদের। 

পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকরা এখন বাইরের রাজ্যে বিপজ্জনক শর্তে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ রোজগারের ন্যূনতম ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিয়মিত রাজ্যের শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর মিলছে। 

Comments :0

Login to leave a comment