ED BAGHEL CENTRE

‘বেটিং আ্যাপ’ তদন্তে রাজ্যকে সহায়তা করেনি কেন্দ্র, ইডি’কে পালটা বাঘেলের

জাতীয়

ভুপেশ বাঘেল

বিজেপি নিজে লড়তে পারবে না। ভোটের আগে সেই কারণে নামিয়েছে ইডি’কে। বেটিং অ্যাপ থেকে ৫০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগের জবাবে এই সুরে পালটা আক্রমণ শানালেন ভূপেশ বাঘেল। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি’র হাবেভাবেই স্পষ্ট যে ভোটে হেরে গিয়েছে। 

শুক্রবার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলে বাঘেলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি। শনিবারই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী জনসভায় জবাব দিয়েছেন বাঘেল। তিনি বলেছেন, ‘‘জুয়ার অ্যাপ তদন্তে নেমেছিল রাজ্য সরকারই। ছত্তিশগড় সরকার কেন্দ্রকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছিল। কারণ কেলেঙ্কারি রাজ্যের বাইরেও ছড়িয়েছিল। কেন্দ্র কিন্তু সহায়তা দেয়নি।’’

ইডি’র অভিযোগ ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’-র প্রোমোটাররা ৫০৮ কোটি টাকা দফায় দফায় বাঘেলকে দিয়েছে। খেলায় জুয়ার এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। ইডি জানিয়েছ যে ভোটের মুখে তল্লাশি চালিয়ে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে ওই ব্যক্তিকে জেরা করে। তার ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। অ্যাপ চালাতো যে প্রোমোটাররা তাদের ই-মেল পরীক্ষা করা হয়েছে। বাঘেলকে টাকা দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে তা থেকেই।

শনিবার বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাঘেলের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগে প্রচারও চালিয়েছে। বাঘেল বলেছেন, ‘‘যারা টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা ওই ব্যক্তির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছে তাদের ধরছে না কেন ইডি?’’ 

বাঘেলের ব্যাখ্যা, ‘‘আসলে ছত্তিশগড়ের ভোটে বিজেপি নিজের জোরে লড়তে পারবে না। সে কারণে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, আয়কর দপ্তরকে নামিয়ে দিয়েছে।’’

নভেম্বরে ছত্তিশগড় সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ছত্তিশগড়ে ভোট ৭ ও ১৭ নভেম্বর। রাজস্থানেও অন্য একটি অভিযোগে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভবকে জেরা করেছে ইডি। 

বাঘেল বলেছেন, ‘‘একসময় বিজেপি হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলত। তদন্তও শুরু হয়। যেই তিনি বিজেপি’তে যোগ দিলেন তদন্ত বন্ধ হয়ে গেল। কয়েকমাস আগে অজিত পাওয়ারের বেলায় একই কাণ্ড হয়েছে। ওরা দুর্নীতি ধরতে আদৌ আগ্রহী নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভোটে সুবিধা তুলতে আগ্রহী বিজেপি।’’ 

মহাদেব বেটিং অ্যাপ প্রসঙ্গে বাঘেলের ব্যাখ্যা, ‘‘এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছিলাম আমরা। রাজ্য সরকারই কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল। আমরাই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলাম। অন্য রাজ্যগুলিকেও লিখেছিলাম। তদন্তের সূত্র যে যে জায়গায় লেনদেনের খোঁজ দিয়েছিল সেই রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করেছিলাম কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কেন্দ্র কিন্তু এই তদন্তে সহযোগিতা করেনি।’’

Comments :0

Login to leave a comment