মালিনী ভট্টাচার্য
১৯৮৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যখন যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্ট-সমর্থিত সিপিআই(এম) প্রার্থী হিসাবে আমি দাঁড়াই তখন ‘নারী-ঐক্যে’র প্রবক্তা কিছু নারীবাদী বন্ধু আপত্তি জানিয়ে বলেন, একজন মেয়ে হয়ে যাদবপুরের তৎকালীন সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ আরেকজন মেয়ের বিরুদ্ধে আমার দাঁড়ানো উচিত হচ্ছে না। যেন আমি মেয়ে বলেই প্রতিপক্ষ কিছু বাড়তি অসুবিধায় পড়ে যাচ্ছেন। একথা তখনো আমার কাছে যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়নি, আর তখনকার মতো এখনো আমি মনে করি সেবছর ঐ কেন্দ্রে যে আমরা জিতেছিলাম তার আসল কারণ মেয়ে নির্বাচকদের মধ্যে বিভাজন নয়, তার কারণ সারাদেশে অনুকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আমাদের সাংগঠনিক শক্তি এবং পার্টিকর্মীদের লাগাতার পরিশ্রম। বর্তমান আঠারোতম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব হয়ে যাবার পর সেই স্মৃতি ফিরে আসার কারণ প্রথম পর্বে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি আসনে বামফ্রন্টের কোনও মহিলা প্রার্থী না থাকলেও পরের পর্যায়গুলিতে বেশ কয়েকজন আছেন। পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল এবং কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপি’র পক্ষ থেকেও বেশকিছু মহিলাকে এই রণক্ষেত্রে নামানো হয়েছে। যুযুধান পক্ষগুলির দু’দিকেই মহিলাপ্রার্থী এমন নজিরও উপস্থিত। তবে নারীবাদীরা কিছুটা রাজনৈতিক পরিপক্বতা লাভ করেছেন বলেই হয়তো কেউ এ আপত্তি তুলছেন না, কেন সায়রা শাহ হালিম মালা রায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন।
রাজনৈতিক ময়দানে অবতীর্ণ মহিলা প্রার্থীদের সপক্ষে পার্টি নির্বিশেষে বলার মতো লোক, তাঁদের বিশেষ অসুবিধাগুলি তুলে ধরার লোক অবশ্য প্রধান ধারার গণমাধ্যমে বেশকিছু আছেন। সঠিকভাবেই তাঁরা তুলছেন একথা যে এ ময়দানে মেয়েরা কিছুটা পরে এসেছেন এবং সব পার্টিতেই মহিলাপ্রার্থীর সংখ্যা ও গুরুত্ব তুলনায় কম। দীর্ঘদিন পড়ে-থাকা মহিলা সংরক্ষণ বিল মোদী-সরকার পাশ করিয়ে কৃতিত্ব নিচ্ছে বটে, কিন্তু ২০২৯এর আগে তা লাগু হবার কোনও রাস্তাই রাখেনি ।
টীকাকারদের একথাও গ্রহণযোগ্য যে রাজনীতির ময়দানে, বিশেষত ভোটের ময়দানে মেয়েরা প্রকাশ্যে দাঁড়ালে, মেয়ে বলেই তাদের কিছু বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের আলগা কোনও মন্তব্য, চেহারা, চালচলন , সাজগোজ বা আচরণ, যেগুলো পুরুষদের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্বপূর্ণ হয় না। সোশাল মিডিয়ার রমরমার দিনে তা নিছক ব্যক্তিগত কুৎসাতেও পরিণত হয়। এমনকী, বামপন্থীদের প্রচারেও যে প্রতিপক্ষের নারী-প্রার্থীদের নিয়ে কখনো কখনো অবাঞ্ছিত মন্তব্য চলে আসে না একথা একেবারে সুনিশ্চিতভাবে আমরা বলতে পারি না। বাজার-চলতি মিডিয়ার, এমনকী আইটি সেলের পুরুষতান্ত্রিক ভাষ্য আমাদের ওপরেও কখনো প্রভাব ফেলে। ১৯৮৯ সালেও কিছু কমরেড মনে করতেন, প্রচারের সময় সিঁথিতে সিঁদুর না দিলে প্রতিপক্ষ আমার নামে কুৎসা রটাবে। কোনও পুরুষপ্রার্থীর তো নিজেকে সচ্চরিত্র প্রমাণ করতে এত ব্যস্ত হতে হয় না। অনেক জল গড়িয়েছে তারপর, অবস্থা পুরো পালটেছে কিনা আজকের প্রার্থীরা বলতে পারবেন।
প্রধান ধারার মিডিয়ার সমালোচনা এপর্যন্ত মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট থাকলে তাঁদের ব্যবসা চলে না। একধাপ এগিয়ে গিয়ে তাঁরা প্রথমত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীপ্রার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ রক্ষাকবচ দাবি করে বসেন। কোনও মহিলা প্রার্থী নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করেন, কোনও সাংসদ নির্বাচন ক্ষেত্রে না যাবার কৈফিয়ত হিসাবে বলেন, ১৭৪ ধারা লাগু থাকায় তিনি যেতে না পারার অজুহাত দেন, কোনও তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে নেমে চালকলের ধোঁয়ায় কারখানার প্রসার দেখেন, বা বলেন তিনি বিজেপি-কে হারাতে আসেননি লোকের মন জয় করতে এসেছেন, বা খেয়ালখুশির দিনে হিন্দু দেবতার বিরুদ্ধে আল্টপকা মন্তব্য করে বসার প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে প্রচারের সময় দেবমন্দিরে ধরনা দেন বা হঠাৎ হলফ করে বলতে থাকেন যে তিনি জীবনে কখনো গোমাংস খাননি।
এমন অজ্ঞতা বা দ্বিচারিতার জন্য মেয়ে বলেই তাঁদের ক্ষমা প্রাপ্য এ দাবি তো নারীপ্রার্থীর সম্মানকেই ক্ষুণ্ণ করে; তাঁদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না এই ধারণাকেই তাতে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়। মেয়ে বলেই পেশার দোহাই দিয়ে তিনি সিনেমার পর্দা থেকে ফ্যাশন শো পর্যন্ত সর্বত্র বিরাজ করবেন, কিন্তু তাঁকে না দেখা যাবে সংসদের অধিবেশনে, না নিজের নির্বাচনক্ষেত্রে, একে কি পুরুষতন্ত্রের দুনিয়ায় মেয়েদের বিশেষ অধিকার বলে সাফাই গাওয়া যায়?
সরাসরি এমন কথা প্রধান ধারার মিডিয়ার ভাষ্যকারেরা না বললেও তাঁদের নারী দরদ শেষ পর্যন্ত এইস্তরে পৌঁছায়, তার কারণ শাসকদলগুলির নারী সাংসদদের সংখ্যা বেড়েছে। গুণমানের প্রমাণ না দিয়েও শুধু শাসকের কথা-বলা পুতুল হিসাবে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে হবে বলেই আজ প্রধান ধারার মিডিয়াতে ‘নারীবাদী’যুক্তির দুর্ভাগ্যজনক ব্যবহার। প্রধান যে যুক্তি এর জন্য ব্যবহার করা হয় তা হলো বিজেপি থেকে বামপন্থী সব রাজনৈতিক দলই এখন রাজনীতির উচ্চ আদর্শ থেকে ভ্রষ্ট এটা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সর্বত্রই পুরুষতন্ত্র সমানভাবে বিদ্যমান এটা ধরে নিয়ে এর মধ্যেই নারী সাংসদরা যতটা পারেন জায়গা করে নেবেন।
আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূল-বিজেপি’র প্রশাসনিক অপসংস্কৃতিরও সূত্রপাত এই ভাষ্যকারেরা এরাজ্যে গণনা করেন বামফ্রন্টের আমল থেকে। মুক্তচিন্তার আশ্বাস দিয়ে শুরু করলেও বামপন্থী শাসন থেকেই তাঁদের মতে জোরজবরদস্তির নীতি শুরু। উদাহরণ? সে তো কতই আছে। মরিচঝাঁপি, তাপসী মালিক ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি যতোই বলুন না কেন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই গালগল্পগুলির তামাদি হয়ে যাবার কথা, এইখানে এসে রাজনীতিবিদদের সবরকম দুষ্কর্মের বীজ বামপন্থীদের মধ্যে খুঁজে পেয়ে তাঁরা খুব আশ্বস্ত হন। সব রাজনৈতিক দলই সমান পুরুষতান্ত্রিক, এই ‘নারীবাদী’ সাফাই গেয়েই তাঁরা নারী সাংসদদের অসুবিধাগুলি ব্যাখ্যা করেন। ভুলেও মিডিয়ার এই প্রবক্তারা আমাদের স্মরণ করান না যে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নামে যখন সংসদে কর্পোরেটের টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ ওঠে এবং কিছু বিজেপি নেতা তাঁর জীবনযাত্রা নিয়ে কুৎসামূলক রটনা শুরু করেন, তখন রাজনীতিতে তৃণমূলের বিপরীত মেরুতে থেকেও একমাত্র সিপিআই(এম)’র সর্বভারতীয় নেত্রী এবং প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ বৃন্দা কারাটই প্রকাশ্য বিবৃতিতে বলেন, সাংসদ যদি সংসদের বিধিভঙ্গ করে থাকেন, তাই নিয়ে তদন্ত হোক, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুৎসা বন্ধ হওয়া উচিত। একথা স্বীকার করলে এই ভাষ্যকারদের তাত্ত্বিক অবস্থান যে ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে সি পি আই (এম)’র পক্ষ থেকে নারী প্রার্থী রয়েছেন পাঁচজন, বামফ্রন্ট ধরলে ছ’জন। জাহানারা খান, দীপ্সিতা ধর, সায়রা শাহ হালিম, সোনামণি মুর্মু, শ্যামলী প্রধানরা কেউই ‘সেলিব্রিটি’ নন, ফ্যাশন পত্রিকার পাতায় তাঁদের নাম পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে মাটিঘেঁষা গণসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে তাঁদের মানুষের সঙ্গে মেশায় হাতে-খড়ি হয়ে গেছে, তাঁদের ওঠা-বসা-খাওয়া সমাজের নানাস্তরের লোকের সঙ্গে, যে গুণ একজন সাংসদের পক্ষে আজকের দিনে একান্ত আবশ্যিক। অবশ্যই নির্বাচনের আগে একদিন মাটির দাওয়ায় বসে ভাত খেয়ে তার প্রচারে লোকের কান ঝালাপালা করে দিতে তাঁরা শেখেননি। এঁরা নারীহিসাবে কোনও বিশেষ ‘ছাড়’প্রত্যাশা করবেন না। তাঁদের প্রার্থী হওয়াতে ইলেকটোরাল বন্ডের কোনও ভূমিকা নেই, মানুষের স্বেচ্ছাদান সংগ্রহ করেই বামপন্থী নারী বা পুরুষপ্রার্থীর নির্বাচনী খরচ চলে, তাই একমাত্র তাঁরাই সোচ্চার হবেন রাজনৈতিক পরিসরে, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়ে একটি ‘সমতল ক্রীড়াক্ষেত্র’ আদায়ের দাবিতে, যাতে যে কোনও নারী, তিনি দলিত হন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বা আদিবাসী, সাংবিধানিক অধিকারের ভিত্তিতেই নির্বাচনে লড়তে পারবেন।
যে দেশে খোদ মহিলা অর্থমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন, তিনি এবার ভোটে দাঁড়াবেন না, কারণ তত পয়সা তাঁর নেই, সেখানে নির্বাচন ব্যবস্থার এই পরিবর্তন ছাড়া মহিলা সংরক্ষণ বিল লাগু হলেই বা তার কী অর্থ থাকবে, যে বিলের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বামপন্থী নেত্রী ও সাংসদ গীতা মুখার্জি?
আমাদের প্রার্থীরাও এই লড়াইটা করবেন শুধু নারী বলে নয়, বামপন্থী বলেই। বসিরহাটে রেখা পাত্রকে ‘সন্দেশখালির লড়াকু মুখ’হিসাবে দাঁড় করিয়েই এটা প্রমাণ করা যাবে না যে বিজেপি অর্থবল ও বাহুবলকে নির্বাচনের সারবস্তু বানিয়ে মেয়েদের নির্বাচনে লড়ার অধিকারকে ধূলিসাৎ করেছে। যে পিছড়েপন পরিবারের দাওয়ায় বসে মহামহিম অমিত শাহ মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন সেই পরিবারের মেয়ের ডায়াবেটিসের ওষুধই জোটেনা, সে ভোটে দাঁড়াবে কী!
প্রসঙ্গত বামফ্রন্টের মহিলা প্রার্থীরা সহ সব সিপিআই(এম) প্রার্থীই প্রথম এবং দলীয় প্রার্থী, যাঁরা সাংসদ হলে সাংসদ তহবিলের ন্যূনতম এক তৃতীয়াংশ অর্থ ব্যয় করে মহিলা আত্মমর্যাদা কেন্দ্র গড়ে তুলে গার্হস্থ্য হেনস্তা, যৌন হেনস্তা, বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের বিরোধী সহ যে কোনও সমস্যায় নিয়মিত সহায়তা প্রদান করার কথা যৌথভাবে ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও নারীদের আত্মনির্ভরতা অর্জনে সহযোগিতা ও অন্য অনেকগুলি কাজ এই আত্মমর্যাদা কেন্দ্রগুলি থেকে পরিচালনা করার অঙ্গীকারও তাঁরা করেছেন, যা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল করেনি।
আমাদের নারীপ্রার্থীর সংখ্যা এবার আরেকটু বাড়লে আমরা নিশ্চয়ই আরও বেশি খুশি হতাম। আরএসপি তাঁদের অল্প কয়েকটি আসনের মধ্যে একটিতে নারী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন এটা অভিনন্দনযোগ্য। তৃণমূল ও বিজেপি তাদের নারী জনপ্রতিনিধির সংখ্যা নিয়ে অনেক বড়াই করে থাকে। কিন্তু আমরা বলি, আমাদের প্রার্থীরা যোগ্য প্রার্থী; আমাদের নারী প্রার্থীরাও বাছাই হয়েছেন গুণমানের নিরিখে। মুশকিল হলো, যে সংসদকক্ষের সাড়ম্বর উদ্বোধন হয়েছে মোদীর আমলে, আমাদের আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতিকে অনুষ্ঠানের বাইরে রেখে, যেখানে গত কয়েক বছরে সাংসদদের একটি বড় অংশকে বাদ দিয়ে খুশি মতো আইন পাশ করানো হয়েছে, সংসদীয় কমিটির কাজ, বিতর্ক, আলাপ-আলোচনা যেখানে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে যোগ্য নারীসাংসদ কে চায়? ক্ষমতাসীন দল তো নিশ্চয়ই নয়। এমন সাংসদ – নারী বা পুরুষ - থাকা তাদের পক্ষে বিপদস্বরূপ।
আর এরাজ্যের তৃণমূল, যার একজন মহিলা ‘সুপ্রিমো’রয়েছেন ? কী করে ভুলব তাঁর নিজের দল তিনি গড়ে তুলেছিলেন আরএসএস’র প্রত্যক্ষ মদতে কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাজপেয়ী সরকারের অংশ হিসাবে? পরে তারা অনেক ঘাটের জল খেয়েছে, টাকা দিয়ে দল-ভাঙানোর খেলা খেলে নিজেদের সর্বভারতীয় অস্তিত্ব প্রতিপন্ন করতে চেয়েছে; আজ ইন্ডিয়া জোটের অংশীদার হবার সব সুবিধা নিয়ে সেই জোটের সবরকম ক্ষতি করার ধান্দায় আছে, আর প্রধানধারার মিডিয়া এরাজ্যে তাকে বিজেপি’র একমাত্র উপযুক্ত প্রতিপক্ষের আসনে বসানোর সব উদ্যোগ গ্রহণ করছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কোনও বামপন্থী সাংসদ লোকসভায় নেই, বিধানসভাতেও তারা অনুপস্থিত— এই পরিস্থিতি বহাল রাখাতে তৃণমূলও কম আগ্রহী নয়। অথচ এই নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোট যদি বিজেপি-কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে থাকে তাহলে বামপন্থীদের উপস্থিতি তারমধ্যে শক্তিশালী উপাদানের কাজ করেছে।
যাঁরা বলেন, ‘বিজেপি-কে একটি ভোটও নয়’ তাঁদের সেকথার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু বামপন্থীরা বেশি ভোট পেলে তৃণমূল বিপন্ন হবে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় চলে আসবে, এই মিথ্যা ভয় দেখানো ছেড়ে তাঁরা কেন বলছেন না, ‘বিজেপি ও তৃণমূলের রাজনীতি একই, তার সবচেয়ে বড় বিরুদ্ধ শক্তি বামপন্থীরা’ ! বামপন্থীদের জয়ী করুন, বামপন্থী নারী-প্রার্থীদের জয়ী করুন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূলকে ঠেকিয়ে দিয়ে গণতন্ত্রের গতিকে জোরদার করার অন্য উপায় নেই’।
Post Editorial
বামফ্রন্টের নারী-প্রার্থীদের কেন ভোট দেব?
×
Comments :0