WOMEN RESERVATION BILL

আসনে মহিলা সংরক্ষণ চালু হতে ২০২৯?

জাতীয়

WOMEN RESERVATION BILL বারবার আসন সংরক্ষণের দাবিতে রাস্তায় শামিল হয়েছেন মহিলারা।

মহিলাদের জন্য লোকসভা এবং বিধানসভায় ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বিল পেশ হয়েছে লোকসভায়। কিন্তু ২০২৯’র আগে মহিলাদের আসন সংরক্ষণ চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

২০১০-এ রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছিল। তবে লোকসভায় তা পাশ হয়নি। দু’কক্ষে বিল পাশ না হওয়ায় আইন হয়নি। ২০১০’র বিলেরই বয়ানে কিছু পরিবর্তন এই বিলে রয়েছে। ফলে রাজ্যসভায় সেই সংশোধন পাশ করাতে হবে। 

এবারের বিলে সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের সংস্থান রয়েছে। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মধ্যে ৩৩ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং আদিবাসীদের জন্য রাখার সংস্থান হয়েছে।

দেশে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনে মহিলা সংরক্ষণ চালু করেছিল পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার। ১৯৮৩’তে পঞ্চায়েতে ৩৩ শতাংশ বা এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ চালু হয় এ রাজ্যে। 

মঙ্গলবার লোকসভায় পেশ মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ হওয়ার পরও কেন ২০২৯ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানের ১২৮ তম সংশোধনী বিল সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সই করলে আইন হবে। এই পর্বে সমস্যা না হলেও অপেক্ষা করতে হবে আর দু’টি ধাপের জন্য। প্রথমত জনগণনার তথ্য দরকার হবে। ২০২১-এ জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশের কথা ছিল। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সময়েই দেশে প্রথম দশ বছর অন্তর জনগণনার রীতি ভাঙা হয়েছে। জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি করোনা মহামারীর কারণে সমীক্ষায় সমস্যার অজুহাত দিয়ে। 

সেক্ষেত্রে, ২০২৭-এ জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশ হতে পারে। তারপর হবে আসন পুনর্বিন্যাস বা ডিলিমিটেশন। ডিলিমিটেশন কমিশনকে মহিলা আসন সংরক্ষণের জন্য আলাদা একটি বিলও পাশ করাতে হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন পেশ হওয়া বিলে বলা হয়েছে যে প্রত্যেক ডিলিমিটেশনে মহিলা সংরক্ষিত আসন বদলাবে। এখন যেমন কর্পোরেশন নির্বাচনে দেখা যায়, একেকটি ওয়ার্ড একেকটি ভোটে মহিলা সংরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত হয়।

বিলে বলা রয়েছে আপাতত এই সংরক্ষণের মেয়াদ ১৫ বছর। তবে পরে তা সম্প্রসারণ করা যাবে। সংবিধানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি এবং আদিবাসীদের উল্লেখ থাকলেও অন্য অনগ্রসর অংশ বা ‘ওবিসি’-দের উল্লেখ নেই। ফলে ‘সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণ’ হলেও ওবিসি আসন বলে চিহ্নিত করা হবে না কোনও নির্বাচনী ক্ষেত্রকে। 

দেশে এখন লোকসভা এবং সব রাজ্য বিধানসভা মিলিয়ে মহিলা জনপ্রতিনিধির হার ১৪ শতাংশ। তবে রাজ্যসভা বা বিধান পরিষদে সংরক্ষণের সংস্থান এদিন পেশ হওয়া বিলে নেই। 

Comments :0

Login to leave a comment