exploitation of workers

নয়া মোড়কে শ্রমিকদের বঞ্চনা, কাজ বাড়ছে, আয় কমছে

উত্তর সম্পাদকীয়​

ইন্দ্রজিৎ ঘোষ 
লোকসভা ভোটের আগে ফলাও করে বলা হচ্ছে মোদী গ্যারান্টি। সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের জন্য আলাদা আলাদা গ্যারান্টি দিচ্ছেন মোদী। ইলেকট্রোরাল বন্ডের টাকায় ফলাও করে বিজ্ঞাপন ছাপা হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। হোর্ডিংও করা হচ্ছে। বাস্তবে ১০ বছর দেশ চালার অভিজ্ঞতায়, আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষ, সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত,শোষিত হয়েছে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে।
একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে মোদী  গ্যারান্টির, ট্রাক চালকদের জন্য জাতীয় সড়কে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু সকলেরই মনে থাকবে গত  কয়েকদিন আগে ২০২৩ সালের শেষ দিকে, আমাদের দেশের দূরপাল্লার ট্রাক ডাইভাররা ধর্মঘট করেছিল। শুধু ট্রাক ড্রাইভার নয় সমস্ত ড্রাইভাররাই ধর্মঘটে শামিল হয়েছিল। কারণ মোদী সরকার একটি  আইন করেছিল, যে আইনে ড্রাইভারদের সর্বনাশ হচ্ছিল তাই তারা ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছিল। 
কি সেই আইন? ‘হিট অ্যা ন্ড রান’ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নতুন আইন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৬ নং ধারার উপধারা (১), (২)তে পথ দুর্ঘটনায় কেহ আহত হলে বা দুর্ঘটনায় কেউ  মারা গেলে জামিন অযোগ্য ধারায়  মামলা  হবে। ড্রাইভারদের স্থান হবে জেলে অথবা বিপুল পরিমাণে জরিমানা, (দশ বছর জেল ও ফাইন)। ছোট বড়, সরকারি, বেসরকারি, ব্যক্তিগত বা বাণিজ্যিক সকল প্রকার গাড়ির ক্ষেত্রেই এই আইন কার্যকর হবে। ১৪৬ জন বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে কোনও আলোচনার সুযোগ না দিয়ে ২২ ডিসেম্বর, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আই পি সি) বাতিল করে, নতুন আইন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২৫ ডিসেম্বর,২০২৩ দেশের রাষ্ট্রপতি তড়িঘড়ি এই আইনে স্বাক্ষর করেছে। সারা দেশের জণগণের উপর কালা আইন কার্যকর করার চেষ্টা করছে।
আমরা সকলেই জানি দুর্ঘটনা কোনও ড্রাইভার ইচ্ছাকৃত ঘটায় না। দুর্ঘটনা-দুর্ঘটনাই। নানাবিধ কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। খারাপ রাস্তা, গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি, পথচারীর অসতর্কতা, খারাপ আবহাওয়া, চালক বা অন্য মানুষের ভুল বা ত্রুটি ইত্যাদি। দুর্ঘটনায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ড্রাইভার, অথচ দুর্ঘটনার কারণ অন্বেষণ না করেই দুর্ঘটনার দায়  ড্রাইভারের উপর চাপিয়ে দেওয়া চরম  অন্যায়। এই কাজটিই করেছে মোদী সরকার। 
এমনিতেই বর্তমান মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহন সেক্টর বিরোধী নীতির কারণে সড়ক পরিবহণ ক্ষেত্র গুরুতর সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। ২০১৪ সালের তুলনায় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও পেট্রোল-ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বিমা প্রিমিয়ামের বিশাল বৃদ্ধি, টোল ট্যাক্সের ভারী বোঝা, শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী এম ভি অ্যাক্ট সংশোধন ইত্যাদি, ইতিমধ্যেই পরিবহণ শিল্পের পাশাপাশি শ্রমিকদেরও চরম ক্ষতি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া যানবাহন স্ক্র্যাপিং পলিসি হলো ছোট মালিকদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই নীতিগুলি পরিবর্তন না করা হবে, ততক্ষণ সড়ক পরিবহণে ছোট ছোট মালিকেরা এবং অবশ্যই শ্রমিকেরা টিকে থাকতে পারবে না।
সড়ক পরিবহণ শ্রমিকদের, বিশেষ করে অসংগঠিত সড়ক পরিবহণের চালক, পরিচালকদের অবস্থা করুণ। অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। দক্ষ পেশার প্রতি কোনও সম্মান নেই। তারা কোনও শ্রম আইনের আওতায় নেই এবং চাকরির নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষার নিরাপত্তা নেই। সরকারি পরিবহণকে বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ হচ্ছে না, অস্থায়ী কর্মীদের সামান্য বেতন। নতুন গাড়ি কেনার জন্য বা বৈদ্যুতিক যানবাহনে সুইচ ওভার করার জন্য ন্যাশনালাইজ ব্যাঙ্ক বা সরকার কেউই আর্থিক সহায়তা (ঋণ) দিচ্ছে না।
পরিবেশ রক্ষার্থে ১৫ বছরের বেশি বয়সের  গাড়ি বাতিল হবে, ২০০৯ সালে এই বাতিলের নোটিসের সময় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার অটো ট্যাক্সি বিভিন্ন ছোট গাড়ি ক্ষেত্রে স্বল্প সুদে ব্যাঙ্ক ঋণ একটি বড় অংশের টাকা হিসাবে দিয়েছিল কিন্তু বর্তমান রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের সময় তার কোনও উদ্যোগ নেই। ফলত অটো ট্যাক্সি ছোট গাড়িগুলোর ভয়ানক বিপদের সময় আসছে। 
ওলা উবের ইনড্রাইভ র্যাটগপিডো বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাব অপারেটরগুলির এগ্রিকেটর আইন লাগু করছে না। অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলো ইচ্ছামত কমিশন কাটছে। কাটার কথা ২০% কাটছে ৩৫%, ৩৭%। যখন তখন ড্রাইভারদের আইডি বন্ধ করে দিচ্ছে। রাজ্য সরকার  চুপ। বারাবার আন্দোলনে নামছে ড্রাইভার ইউনিয়নগুলি। 
অ্যাপ ক্যাব কোম্পানিগুলির  ড্রাইভারদের শ্রমিকে  স্বীকৃতি পায় না। তারা নাকি বৃহৎ কোম্পানিগুলোর ড্রাইভার পার্টনার। ফলে ওলা উবের র্যাশপিডো চালকদের পিএফ, ইএসআই সহ কোনও  সুযোগ কোনও সামাজিক সুযোগ-সুবিধায় নেই। রাজ্য কেন্দ্র দুই সরকারি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। গিগ ওয়ার্কারদের  কথা মুখে বললেও কাজ করছে পুঁজিপতিদের স্বার্থে যাতে শ্রমিকদের আরও বেশি করে শোষণ করা যায়। আর ভোটের আগে এসে বিজেপি বলছে এই ট্রাকচালক, ট্যাক্সি চালক, বাস চালক, ওলা উবের চালক, এদের সবার ই শ্রমের অন্তর্ভুক্ত করবে। তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেবে। 
মজার বিষয় হচ্ছে এরা সকলেই  ইতোমধ্যেই  শ্রমের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ই শ্রম পোর্টাল সম্পর্কে তো কিছু কথা বলতেই হয়। লকডাউনের সময় সারা দেশের অসংগঠিত শ্রমিকরা বিশেষত পরিযায়ী শ্রমিকদের করুণ অবস্থা প্রকাশ্যে আসে। কয়েক হাজার কিলোমিটার হাটতে হাঁটতে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরে। ট্রেন লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে ট্রেনে কাটা পর্যন্ত পড়ে। পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্লিচিং স্প্রে করে দেওয়া হয়। কাজ নেই নেই কিরকম অবস্থায় পর মাস কাটাতে হয় ভারতবর্ষের শ্রমিকদের। এরকম সময়ে  সিআইটিইউ’র  দাবি ছিল অসংগঠিত শ্রমিকদের ৭৫০০ টাকা করে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য ছিল সারাদেশে কত অসংগঠিত শ্রমিক আছে সেই তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই। তাই তারা অসংগঠিত  শ্রমিকদের কোনও সহায়তা করতে পারবে না। এমনকি বাড়ি ফেরারও ব্যবস্থা করতে পারবে না। সিআইটিইউ সহ আরও কয়েকটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। মামলা রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ই-শ্রম পোর্টালে অসংগঠিত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণের নির্দেশ দেয় মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট।  ২৬ আগস্ট ২০২১ তারিখ থেকে ই শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে শুরু হয় ভারতবর্ষের অসংগঠিত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ। ১৬ মে ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণের সংখ্যা ২৯,৫৯,১৭,৯৮৮ জন।
কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা ছিল ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্তকরণে দুই রকমের সুবিধা পাওয়া যাবে। ০১. Employment Scheme এবং Social Security Scheme. প্রায় ২০১ রকমের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনও কিছুই চালু হয়নি। বিশেষত যে পরিবহণ শ্রমিকরা ইতি মধ্যেই ই শ্রম পোর্টালে  অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারাও  কোনও সুবিধা পাচ্ছে না। 
ওদের বিজ্ঞাপনের ভাষা অনুযায়ী ট্রাক চালকরা অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। ট্রাকচালকদের দীর্ঘদিনের দাবি ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর ট্রাক চালকদের রাত্রিবাসে ও স্নানের  জায়গা করার। কিন্তু তা হচ্ছে না। আন্তঃরাজ্য বর্ডার পার করলেই বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। সে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাই অল ইন্ডিয়া ট্রাক অ্যাসোসিয়েশন ও অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে এই অনৈতিক অন্যায়ের প্রতিবাদে ধারাবাহিক আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনের চাপে ১০৬-এর (২) ধারা আপাতত কার্যকর হবেনা বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু নুতন আইন সংশোধন করে সংসদে কঠোর বিধান প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত শ্রমিকদের মাথায় শাস্তির খড়গ ঝুলছে।
মোদীর বিজ্ঞাপন আরও বলেছেন হকার যারা গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন সামগ্রিক বিক্রি করেন তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা কি? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিডের সময় পথ হকার সংগঠনগুলির দাবি ছিল দশ হাজার টাকা করে অনুদান দিক তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য। বারবার বলার পরেও কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকাও দেয়নি। সিআইটিইউ সহ ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠনগুলির আন্দোলনের চাপে UPA 2 সরকারের সময় পথ হকার আইন ২০১৪ পাস করানো হয়। সেই আইন অনুযায়ী হকারদের লাইসেন্স দেওয়া , তাদের সচিত্র পরিচয় পত্র দেওয়া ব্যাঙ্ক লোনের সুযোগ দেয়ার কথা বলা আছে। বিভিন্ন শহরে হকারদের রক্ষণাবেক্ষণ সুযোগ-সুবিধা নিরাপত্তার জন্য টাউন ভেন্ডিং কমিটি তৈরি করার কথা। এই টাউন ভেন্ডিং কমিটিতে মূলত হকারদের নিয়েই  গঠিত হবে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে এখনো সেই নিয়ম মেনে টাউন ভ্যান্ডিং কমিটি হয়নি। কলকাতা পৌরসভা নিজেদের পছন্দ মতো লোককেদের দিয়ে একটা টাউন হেনডিং কমিটি করেছে কিন্তু তার কার্যকারিতা নেই। ২০১০ সালে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন বেশ কিছু হকারকে লাইসেন্স এবং সচিত্র পরিচয় পত্র দিয়েছিল তারপরে আর এ বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। 
কলকাতা স্ট্রিট হকার ইউনিয়ন ও রাজ্যের হকার ফেডারেশনের উদ্যোগে বারবার ডেপুটেশন দেওয়া হলেও কোনও কার্যকারিতা নেই। কবিরের সময় মনে পড়লো না মোদী সরকারের ভোটের আগে হকারদের কথা মনে হয়েছে। এ চরম দ্বিচারিতা। সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হকার উচ্ছেদ হয়েছে মোদী সরকার নিশ্চুপ।
কোভিডের সময় রেল বন্ধ থাকার কারণে অনেক রেল হকারের দুর্দশায় কাটাতে হয়েছে। রেল হকারদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্টেশন থেকে। কর্পোরেটের হাতেই স্টেশন গুলো বিক্রি করছে মোদী সরকার। সারাবছর গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরে ভোটের আগে তাদের ভোট চাইতেই গল্প এ দ্বিচারিতা মানুষ ধরে ফেলেছে। এমনিতেই অসংগঠিত শ্রমিকদের কাজের ঘণ্টার কোনও হিসাব থাকে না। মোদী সরকারের উদ্যোগে সংঘটিত শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ১২ ঘণ্টা কাজ করার নিধান দেওয়া হচ্ছে। মোদী সরকারের এই ১২ ঘণ্টা কাজের একটা অদ্ভুত যুক্তি আছে। একজন শ্রমিক সপ্তাহে ৬ দিন ৮ ঘণ্টা কাজ করবে তাহলে মোট ৪৮  ঘণ্টা কাজ করবে। মোদী সরকার বলছে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টাই কাজ করবে কিন্তু ৬ দিনের বদলে ৪ দিনে। মানে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা। 
আপত দৃষ্টিতে এটা নিরামিষ প্রস্তাব হলেও সপ্তাহে ৪ দিন মানে মাসের ১৬ দিন কাজ করবে একজন শ্রমিক। মাসের ১৬ দিন কাজ করার অর্থ হলো এটাই সেই কর্মীটি আর শ্রমিক হিসাবে বিবেচিত হবে না। ফলে সামাজিক  সুরক্ষা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি বোনাস কিছুই আর দিতে হবে না মানে কোনও নিরাপত্তাই আর থাকবে না। হাই শ্রমিক না হলে তাকে ছাটাই করতেও সুবিধা হবে। সুকৌশলে শ্রমিকের পেটে লাথি মারা আর স্বার্থসিদ্ধি করা। এটাই মোদী সরকার চাইছে। প্রতিদিন অস্থায়ী রূপে রূপান্তরিত করছে শ্রমিককে।
কোভিডের  পর থেকে নতুন ভাবনা এসেছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মীটি বাড়িতেই থাকছে অফিস যেতে হচ্ছে না কিন্তু সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ১১টা পর্যন্ত তাকে কাজ করতেই হচ্ছে কাজের ঘণ্টার কোনও হিসাব নেই। কেন্দ্রীয় সরকার অমানবিক শোষণের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ। এ এক চরম দাসত্ব। অসংগঠিত শ্রমিকদের ওপর কাজের ঘণ্টার পরিমাণ প্রতিদিন বাড়ছে। চরম শোষণ দাসত্বের  জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে মোদী সরকার। এই তীব্র শোষণ যন্ত্রণা ও মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আপামর অসংগঠিত শ্রমিকরা গর্জে উঠছে।লড়াই সারা ভারত জুড়ে চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার দল বিজেপি প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাবে।

Comments :0

Login to leave a comment