ঘরের মধ্যে ঝুলছে দুই শিশু সন্তানের দেহ। খানিকটা দূরে ঘরের বাইরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা মায়ের। মর্মান্তিক এই ছবিটা ধরা পড়ল কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শংকরপুর গ্রামে। শুক্রবার ঘটনা ঘটেছে।  দুই শিশু ও মায়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় দারুন চাঞ্চল্যকর পরিবেশ। দূর দুরান্ত থেকে বহু মানুষের ভীড় জমে যায় গ্রামে। 

অভাব ছিলো নিত্য দিনের। অভাবের কারণে মৃত রমণীর স্বামী শষি মোহন বর্মণ ভীন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে। বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ী এক ননদ কে নিয়েই ছিলো সংসার। শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন মাঠের কাজে যায়। বাড়ি ফিরে দেখেন মা তার দুই সন্তানের মৃতদেহ ঝুলছে। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শঙ্করপুর হাই স্কুলের সামনের বাড়িতে। 
কালিয়াগঞ্জ শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা সুত্রে জানা যায় মৃত মহিলার নাম ময়না বর্মণ  বয়স ২৯। মৃত মেয়ের নাম মৌমিতা বর্মণ ৭ বছর , ছেলে মিলন বর্মণ বয়স( ৫)।  দুই ছেলে মেয়ে প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়া। এদিন তিন জনের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে হয়। মৃত মহিলার পরিবারের লোকেদের অভিযোগ আট বছর আগে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাদের মেয়েকে অত্যাচার চালাতো। বিগত কিছুদিন আগেও সালিশি সভার মধ্য দিয়ে সমাধান করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ দুই ননদ সহ শ্বশুর শাশুড়ী মিলে অশান্তি করতো। পারিবারিক অশান্তির কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা বলে অভিযোগ মৃত বধূর বাপের বাড়ির লোকদের। মৃত্যুর কারণ হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য তিনটি মৃতদেহ রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।