SSC Scam Protest

নেই তালিকা, এসএসসি ভবন তোলপাড় চাকরিহারাদের বিক্ষোভে, দেখুন ভিডিও

রাজ্য জেলা

সন্ধ্যা পর্যন্ত চাকরিহারাদের কোনও তালিকা বের করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। বাইরে কয়েক হাজার চাকরিহারা শিক্ষকরা অবস্থানে। তালিকা না বেরনোয় এসএসসি’র সামনে তোলপাড় পরিস্থিতি রাত সাড়ে সাতটার পরও। দেখুন ভিডিও
চাকরিহারাদের বড় অংশ পুলিশের বাধা ঠেলে এসএসসি ভবনের ভেতরে ঢুকতে মরিয়া। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে রাখা ছিল আগে থেকেই।
শোনা গিয়েছে, ভেতরে কমিশনের সঙ্গে চাকরিহারা শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করছেন। প্রতিনিধিদলে ১৩ জন রয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন কোনও নির্দিষ্ট বক্তব্য জানায়নি। 
তবে বাইরে চাকরিহারাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে ‘থার্ড কাউন্সেলিং’ পর্যন্ত নিয়োগের সূত্র শুনে। চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ দাবি করেছেন যে এসএসসি তৃতীয় কাউন্সেলিং পর্যন্ত নাম বিবেচনায় রেখে তালিকা তৈরি করবে। তাঁরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেছেন, সাতটি কাউন্সেলিং হয়েছে। তা’হলে বাকিরা কিসের ভিত্তিতে বাদ যাবেন। তাঁরা বলেছেন, ‘যোগ্য’ এবং ‘অযোগ্য’ তালিকা বের করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আজই সেই তালিকা বের করার কথা। আগে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে। 
উল্লেখ্য, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, এসএসসি-ই জানাতে পারেনি যোগ্য এবং অযোগ্য কারা। যার দরুণ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। হাইকোর্ট নির্দেশিত সিবিআই তদন্তের ভিত্তিতে প্রায় আট হাজার নাম বেরিয়েছিল যে ক্ষেত্রে কারচুপিতে নিয়োগ চিহ্নিত। এদেরই আদালতে ‘অস্বচ্ছ’ বা ‘টেন্টেড’ বলা হয়েছে। এদের টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বিবেচনায় রেখে ডিসেম্বর পর্যন্ত ‘অস্বচ্ছ’ বা যাদের ক্ষেত্রে কারচুপি চিহ্নিত নয়, তাদের স্কুলে পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। 
তবে প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রেখে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে মে’র মধ্যেই সব পদে নিয়োগ করতে হবে নতুন করে। যারা আপাতত কাজে যাবেন তাঁরাও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও বাড়তি সুবিধা পাবেন না। 
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ডিসেম্বর পর্যন্ত পড়ানোর জন্য এসএসসি-কে এই ‘আনটেন্টেড’ বা ‘স্বচ্ছ’ নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও তালিকা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এদিন চাকরিহারাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এবার এসএসসি কথা ঘোরাচ্ছে। স্পষ্ট করে নামের তালিকা না দিয়ে প্রথম তিনটি কাউন্সেলিং-কে মাপকাঠি করছে।
চাকরিহারারের একাংশ এদিন সরাসরি বলেছেন সরকার এবং কমিশন চোরদের বাঁচাচ্ছে বলে তঁদের চাকরি হারাতে হয়েছে। এবার যে তালিকা প্রকাশের কথা তা নিয়েও টালবাহানা চলছে দুর্নীতির কারণেই।
এসএসসি আদালতে বলছিল, তালিকায় যোগ্য এবং অযোগ্য কারা তা চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। আদালতে সরকার বা এসএসসি স্বীকারও করেছে যে প্যানেলে দুর্নীতি হয়েছে। এসএসি’র দাবি, তাদের কাছে ওএমআর শিট নেই। কোনও ‘ব্যাকআপ’ না রেখে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়োগ হয়েছে। 
২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ ঘিরে এই মামলায় দেখা গিয়েছে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে নিয়োগে ফাঁকা ওএমআর শিট দিয়েও তালিকায় নাম উঠেছে। ক্রমতালিকা বদলে গিয়েছে। ওএমআর শিট যা সিবিআই উদ্ধার করতে পেরেছে তা থেকেও দেখা গিয়ে কম নম্বর পেয়ে চাকরি। আর শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, তৃণমূলের যুব নেতাদের বাড়ি থেকে টাকা বা ওএমআর শিট মিলেছে।

Comments :0

Login to leave a comment