Nusrat Jahan

১০ মিনিটের সাংবাদিক সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার ব্যার্থ চেষ্টা তৃণমূল সাংসদের

রাজ্য

মাত্র ১০ মিনিটের সাংবাদিক সম্মেলন। নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন বদিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারলেন না। 


বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে অস্বীকার করলেন তৃণমূল সাংসাদ। তিনি দাবি করেন যে কোন রকম দুর্নীতির সাথে তিনি যুক্ত নন। তিনি বলেন, ‘‘যেই সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলাম সেখান থেকে এক কোটি ষোল লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কিনি। ২০১৭ সালে সুদ সমেত তা শোধ করে দিয়েছি এবং ওই সংস্থা থেকে ইস্তফা করেছি। আমার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন।’’
তৃণমূল সাংসদের কথায়, আদালতের বিচারাধীন বিষয়, তাই আইন তার নিজের পথে চলবে। কেন অভিযুক্ত সংস্থার থেকেঋণ নিয়েছিলেন তার কোন উত্তর তিনি এদিন দিতে পারেননি।


২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও তাঁর রিয়েল এস্টেট সংস্থার বিরুদ্ধে। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করা। অভিযুক্ত ‘৭ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’। যে সময়ে এই দুর্নীতির কারবার চলেছিল তখন এই সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টরস’র অন্যতম সদস্য ছিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। অভিযোগ জানানো হয়েছিল কলকাতা পুলিশের কাছেও। প্রতারিতরা আদালতেও মামলা করেছিলেন। আদালত সমন পাঠিয়েছিল নুসরত জাহানকে। যদিও তিনি সাংসদ, তিনি দিল্লিতে ব্যস্ত, তাই হাজিরা দিতে পারবেন না বলে আদালতে জানিয়েছিলেন। অন্যতম প্রতারক তৃণমূলের সাংসদ, ফলে পুলিশও কার্যত হাত গুটিয়ে।


নুসরত জাহান ও তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগটি কী? প্রতারিত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীদের কথায়, ৭ সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি সংস্থা ফ্ল্যাট করে দেওয়ার নামে তাঁদের কাছ থেকে ২৪ কোটি টাকা তুলেছিল। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা সমবায় গড়ে টাকা তুলে দিয়েছিলেন ওই সংস্থার কাছে। ৪২৯ জন ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার হাজার টাকা করে প্রায় ২৪ কোটি তুলে দিয়েছিল। কথা ছিল ওই সংস্থাটি তাঁদের রাজারহাটে তিন কামরার ফ্ল্যাট করে দেবে।


প্রতারিত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী সুশান্ত হাজরার কথায়, ‘‘প্রথমে ওরা বলেছিল রাজারহাটে হিডকোর কাছে জমি কিনে ফ্ল্যাট বানিয়ে দেবে, সেই কারণে প্রথম দফায় আমাদের কাছে ৫ লক্ষ ৫৫ টাকা নেওয়া হয়। তিন বছরের মধ্যে ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় আমাদের হাতে তুলে দেওয়া কথা ছিল। এখন ৯ বছর পেরিয়েছে, ফ্ল্যাটও হয়নি, টাকাও ফেরত পাইনি। ওই কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহান।’’

Comments :0

Login to leave a comment