Post Editorial

ঘরে ফেরার গান

উত্তর সম্পাদকীয়​

সৃজন ভট্টাচার্য 


হোমবাউন্ড দেখলাম। দেখে হল থেকে বেরিয়েই শুনলাম, যুদ্ধবিরতি চলাকালীন আবার বেআইনি আক্রমণ করে গাজায় ৩৩ জনকে মেরে ফেলেছে ইজরায়েলী সেনারা। 
অদ্ভুত সিনেমা। করণ জোহররা এই বিষয় বাছার, বানানোর, দেখানোর সাহস দেখিয়েছেন, কুর্নিশ। সাম্প্রদায়িকতা, জাতপাত, লিঙ্গবৈষম্য, এবং অবশ্যই, অর্থনীতিক শোষণ। শ্রেণিবিভক্ত সমাজে কীভাবে দু'ধরনের মানুষের জন্য দু'ধরনের নিয়ম হয়। অবশ্য দ্রষ্টব্য। যে সময়ে গণমাধ্যমের আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতো সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকেও শাসকের বশংবদে পরিণত করে ফেলা হয়েছে প্রায়, সে সময়ে দাঁড়িয়ে অন্যতম বড় কমার্শিয়াল ছবি নির্মাতার কাছ থেকে এরকম সিনেমা— নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য, সাহসী।
দুই বন্ধুর গল্প, মূলত। জীবনের চড়াই-উৎরাই দুজনকেই এক কারখানায় শ্রমিক হিসাবে এনে ফেলে। তারপর কোভিড আসে, লকডাউন হয়। পোকামাকড়ের মতো হাজার কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি ফিরতে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ। বাড়ি ফেরার ভিড়ে শামিল হয় দুই তরুণও। শেষটা, বড্ড যন্ত্রণার।

দেখতে দেখতে মনে পড়ছিল প্যালেস্তাইনের কথা। অসহায় মানুষের কথা। একের পর এক মিসাইল আছড়ে পড়ছে স্কুল হাসপাতাল ত্রাণশিবির জুড়ে। মাস এক্সোডাস। গাজা শহর ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে বেরিয়ে পড়ছেন, হাঁটতে শুরু করছেন হাজারে হাজারে মানুষ। যাদের বেরোনোর উপায় নেই, পৃথিবীর নিকৃষ্টতম 'ওপেন প্রিজন'এ তাদের সাথে মৃত্যুর সাক্ষাৎ সাধারণত নিশ্চিতই, খুব ব্যতিক্রম না হলে। 
মৃত্যু না। সরি। হত্যা। গণহত্যা।
৭০ হাজারের বেশি মানুষ খুন হয়েছেন গত দু'বছরে প্যালেস্তাইনে। ২০ হাজারের বেশি শিশু কিশোর। লাশের সংখ্যা দিয়ে অপরাধকে নিক্তিতে মাপতে নেই, তবুও, কৌতূহলী মন জানতে চায়, যে ঘটনাকে সামনে রেখে আফগানিস্তান-ইরাক ধ্বংস হলো, সেই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আক্রমণে কত মানুষের প্রাণ গিয়েছিল? ৩ হাজারের একটু কম। যে ঘটনাকে অজুহাত হিসাবে খাড়া করে হিরোশিমা নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছিল, সেই পার্ল হারবারে প্রাণহানির সংখ্যা কত ছিল? আড়াই হাজার।

পার্ল হারবার ছিল যুদ্ধ ঘাঁটি। হিরোশিমা বা নাগাসাকি ছিল জনবসতি, শহর। সাধারণ মানুষের বাস। রেডিয়েশনে পচে গলে ঝলসে যাওয়া লাশগুলো জানতেও পারেনি, কোন অপরাধে ঝরে যেতে হয়েছিল তাদের।
আর, গাজা শহর এবং তার আশপাশে, প্যালেস্তাইনে, শুধুমাত্র গত দু'বছরে খুন হয়ে গেছে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষ। ২০ হাজারের বেশি শিশু কিশোর। জানি, আগের অনুচ্ছেদেই লিখেছি। আবার লিখলাম। বারবার লিখব। মাথায় ঢোকা দরকার, লেখকেরও, পাঠকেরও। অপরাধের ব্যাপ্তি। কত হাজার মরলে পরে মানবে তুমি শেষে, বড্ড বেশি মানুষ গেছে রক্তের স্রোতে ভেসে। 
ইজরায়েল এখনো মানছে না। যুদ্ধবিরতি ভেঙে, আবার খুন করছে প্যালেস্তাইনের সাধারণ মানুষকে। হ্যাঁ, সাধারণ মানুষকেই। এটা হামাসের সাথে ইজরায়েল সেনার যুদ্ধ হচ্ছে না। এটা একটা হিংস্র আধিপত্যবাদী দখলদার রাষ্ট্রের সাথে কেবল বেঁচে থাকার আকুতিটুকু নিয়ে ধ্বংসস্তূপে যুঝে যাওয়া একটা জাতির ধৈর্যের খেলা চলছে। 
এত মারেও মরছে না বেয়াড়া প্যালেস্তাইনের বেঁচে থাকার ইচ্ছে। 
শাদি আবু সিদোর নাম এতক্ষণে জেনেছেন অনেকেই। ২০২৪ সালে ১৮ মার্চ গাজার আল শিফা হাসপাতালে ডিউটিরত অবস্থায় ইজরায়েলের নরপশুদের হাতে গ্রেপ্তার হন ফোটো জার্নালিস্ট শাদি। ১৯ মাস ইজরায়েলের জেলে আটকে রাখা হয়েছিল। মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য বারবার করে বলা হতো, তোমার পরিবার পরিজন সব খুন হয়ে গেছে। তোমার বাড়ি ঘর কিচ্ছুটি নেই। সব ধ্বংস করে দিয়েছি আমরা। 
এই ২০২৫-এর ১৯ অক্টোবর জেল থেকে ছাড়া পান শাদি। জানতে পারেন, ঘরবাড়ি পাড়া মহল্লা গুঁড়ো হয়ে গেলেও বেঁচে আছেন তাঁর স্ত্রী। বেঁচে আছেন মা বাবা। বাচ্চাটা মরেনি, নিঃশ্বাস নিচ্ছে বারুদের গন্ধের মধ্যেই। 
পুনর্জন্ম যেন। চেনা গায়ের গন্ধগুলো আবার। শাদি জানতেন, সব শেষ হয়ে গিয়েছে। পরিবারের সাথে তাঁর আবার দেখা হওয়ার ভিডিও পৃথিবী জুড়ে ভাইরাল। হাসছেন, জাপটে ধরছেন। চুমু খাচ্ছেন, কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
লাখ লাখ শাদি আবু সিদোরা ঘরে ফিরছেন - হোমবাউন্ড। ঘরে ফেরার গান। যারা ফিরল না, তাদের মনে রেখে ফিরছেন। গাজার মানুষ গোটা দুনিয়ার কাছে সাহায্য চেয়ে ফিরেছে গত দু'বছরে। জল, খাবার, ওষুধ। গ্রেটা থুনবার্গদের হাত ধরে ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ বা ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’র সংহতি যাত্রা আমরা দেখেছি। গাজা, আসলে এই গ্রহের মানুষের কাছে যা চেয়েছে, তাকে ইংরেজিতে বলে এমপ্যাথি। সিমপ্যাথি না, এমপ্যাথি।— অর্থাৎ সহমর্মিতা। ট্রাম্প অথবা ইজরায়েলের কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চায়নি প্যালেস্তাইনের মানুষ। 
কেন হোমবাউন্ড দেখতে দেখতে বারবার প্যালেস্তাইনের জীবনযন্ত্রণার কথা মনে পড়ছিল? কারণ বোধহয় ওই একটাই, সংহতি। একেবারে দুটো আলাদা প্রেক্ষিত, আলাদা মাত্রা। মিলে যায় নিরপরাধ মানুষের যন্ত্রণায় গিয়ে। মিলে যায় নিরপরাধ মানুষের বেঁচে থাকার, টিকে থাকার জেদে। 
করোনার সময়েও অ-মানবিকতার কত নিদর্শন আমরা দেখেছিলাম। দেখিনি, নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া? দেখিনি, কুসংস্কার অন্ধবিশ্বাস থেকে সাম্প্রদায়িক ঘৃণাবিদ্বেষ, কোভিড লকডাউনকে ব্যবহার করেই - দেখিনি? 
প্যালেস্তাইনের ক্ষেত্রেও তো দেখছি। টানা, দেখেই চলেছি। একদল লোক প্রমাণ করেই ছাড়বে, প্যালেস্তাইনটা মুসলমানদের সমস্যা। আর, মুসলমানদের মরাটা তো জায়েজ। ইজরায়েল ঠিক করছে, ওই ৭০ হাজার লোকই জঙ্গি, প্যালেস্তাইনের প্রতিটা লোকই জঙ্গি, কারণ মুসলমান মানেই তো জঙ্গি।

মাথায় বিজেপি’র চাষ। বুথে বিজেপি’র পোলিং এজেন্ট না থাকলেও চলবে, বহু বছরের প্রচেষ্টায় সমগ্র জনগণের একটা অংশের মাথায় এই অযৌক্তিক ঘৃণা গুঁতিয়ে ঢুকিয়ে তো দেওয়া গিয়েছে। যুক্তি-বুদ্ধি রহিত।
জায়নবাদ, ফ্যাসিবাদের প্রতিরূপ। ইজরায়েলের সাধারণ মানুষ এই গণহত্যা চান না। ইজরায়েল মিলিটারির একটা অংশ আর মানুষ মারতে চায় না। তারা প্রকাশ্যে জানান দিতে শুরু করেছে। ঠিক যেভাবে ইরাক বা ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলাকালীন অগণিত মার্কিন সেনা অপরাধবোধে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল।
হোয়াইট হাউসের খুনিদের মানবিক প্রবৃত্তির অভাব। যে কারণে তাদের মাথার সাথে নেতানেয়াহুর মিলেছে বেশ। যে কারণে তাদের মাথার সাথে মোদীর মিলেছে বেশ। সমাজতাত্ত্বিক আশিস নন্দীর লেখায় পড়েছিলাম, বাবরি মসজিদ ভাঙার পর তিনি ঘুরে ঘুরে প্রায় কয়েকশো করসেবকের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। অত লোকের মাঝে তিনজন আরএসএস কর্মীর মনের ভেতরের ঘৃণাবিদ্বেষ, তাঁকে আলাদা করে অবাক করেছিল। মানুষ এরকমও হয়? অপরের প্রতি এত ঘৃণা নিয়ে সে বাঁচতে পারে?

সেই ১৯৯২'র কথা। সেই তিনজন আরএসএস কর্মীর নাম ছিল প্রবীণ তোগাড়িয়া, বিনয় কাটিয়ার এবং নরেন্দ্র মোদী। 
যে ঘৃণা আজ চারপাশে ছড়িয়েছে। 
জায়নবাদ আর হিন্দুত্ববাদ মিলেমিশে গেছে সংখ্যালঘু নিধনের তত্ত্বে। প্যালেস্তাইনে যা হচ্ছে, তা মানবতার সংহার, এটা ধর্মের প্রশ্ন নয়, এটা সাম্রাজ্যবাদী লুটের জিগির— শুনেও, চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি। কী তফাৎ, লাদেনের তালিবানদের সাথে নেতানেয়াহুর? কী তফাৎ প্রজ্ঞা ঠাকুরদের?
দু'ধরনের আক্রমণ মূলত আসে দাঙ্গাবাজদের পক্ষ থেকে। একটা হার্ড, একটা একটু সফট। গোঁড়া আক্রমণের বিষয়বস্তু কী? বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ হলে তো কমিউনিস্টরা মিছিল করে না! প্যালেস্তাইনের মুসলমানদের জন্য তাহলে এত দরদ কেন! 
বাস্তব বলছে, কমিউনিস্টরা গত দু'বছরে বাংলাদেশের ঘটনা পরম্পরায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বহুবার রাস্তায় নেমেছে। আমরা পহেলগাঁও নিয়ে পথে নেমেছি, মুর্শিদাবাদ নিয়ে পথে নেমেছি— যে কোনও অন্যায়ের প্রতিবাদে পথ হেঁটেছে বামপন্থীরা। পাকিস্তান বা বাংলাদেশে, এমনকী আমাদের কাশ্মীরেও তো ইসলামিস্ট মৌলবাদের সবথেকে বড় বিরোধী কমিউনিস্টরাই! প্রশ্নটা তা নয়। কথা হলো, আমাদের এবং যে কোনও সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কাছে প্যালেস্তাইনের গণহত্যা একটি মানবিক সমস্যা, যাকে কোনও ধর্মীয় আবডাল দিয়েই জাস্টিফাই করা সম্ভব নয়। এটা মানবতার প্রশ্ন, বিবেকবোধের প্রশ্ন।
বিজেপি প্যালেস্তাইন নিয়ে পথে নামার মতো মনুষ্যত্ব অর্জন করেছে এ দুরাশা ওদের নিয়ে কারোরই নেই। আমাদের দেশে রাজ্যে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া দলিত আদিবাসী সংখ্যালঘুদের উপর অগণিত অত্যাচারের অধিকাংশ তো ওদের হাতেই হয়। মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়েও আজ অবধি নরেন্দ্র মোদী একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি। কেন? ওখানে আদানির বিদ্যুতের ব্যবসা যাতে মার না খায়, সেই জন্যই?
দ্বিতীয়, একটু নরম। আক্রমণের ধারাটি হলো, প্যালেস্তাইন তো অনেক দূর, তোমরা ভারতের সমস্যা, পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা নিয়ে কথা বলো না কেন! এক্ষেত্রেও সবিনয়ে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছে করে, আচ্ছা তোমার নন-বায়োলজিক্যাল অবতার যখন লেজ নাড়িয়ে ‘আবকি বার ট্রাম্প সরকার’ বলে এসেছিলেন, তখন মনে হয়নি যে আমেরিকা অনেক দূর? দেশের মধ্যেকার মণিপুর বা কাশ্মীর যখন বছরের পর বছর জ্বলে, তখন 'দেশের সমস্যা' সমাধান করতে ইচ্ছে করে না সরকারের? কেন করে না? সেখানে কেন যান না মোদী?
এটা আসলে একটা পরিকল্পিত প্রচার। বামপন্থীরা নিজের দেশের কথা ভাবে না। যারা নিজেদের দেশের কথা ভেবে উলটে দিয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদান বলতে একটা মুচলেকার চিঠি। আর কমিউনিস্টদের লড়াইয়ের খাতায় ভগৎ সিং থেকে লক্ষ্মী সায়গল হয়ে গণেশ ঘোষ সহ হাজারো নাম। যারা আজো ‘গডসে মুর্দাবাদ’ বলতে পারে না, দেশপ্রেম শিখতে হবে তাদের থেকে?
বেশ করব প্যালেস্তাইনের কথা বলব। বেশ করব কিউবার কথা বলব। আন্তর্জাতিক বিশ্বমানব হওয়ার চোখ নিয়ে গড়ে ওঠা কোনও অন্যায় নয়। আমার ভাষাতেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া’।  যারা নিজেরা কুয়োর ব্যাঙ, তারাই বামপন্থাকে ‘বিদেশি মতাদর্শ’ বলে। একেকসময় নিষ্পাপ প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে— আচ্ছে, মাধ্যাকর্ষণও তো নিউটনের আবিষ্কার, তিনি তো ভারতীয় ছিলেন না, তুমি তাহলে উড়ে যাচ্ছ না কেন?
পৃথিবীর শ্রমজীবী মানুষকে ভালোবাসতে শিখলে নিজে থেকেই দেশের খেটে খাওয়া মানুষকে ভালোবাসা যায়। আর নিজের দেশের খেটে খাওয়া মানুষকে যে ভালোবাসে না, সে মানুষের শিক্ষা স্বাস্থ্য কাজ চাষবাসের সমস্যা সমাধান করে না, বড়লোকের হাতে দেশ বেচে দেয়— বুঝতে হবে, তার দেশভক্তিতে জল আছে।

আর স্থানীয় বিষয় নিয়ে সোচ্চার হওয়ার প্রশ্ন? উত্তরের জেলাগুলিতে বন্যায় সাহায্য নিয়ে বামপন্থীরা ছোটেনি? কলকাতা শহরে বৃষ্টির জমা জলে ১০টা মানুষ মারা যাওয়ার পর বামপন্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করেনি? বিজেপি কোথায় সেই ঘটনায়? চাকরি চুরি থেকে চিট ফান্ড দুর্নীতি, আরজি কর থেকে ১০০ দিনের কাজ, স্কুল বন্ধ থেকে ভোট লুট, রান্নার গ্যাস থেকে ওষুধের দাম বৃদ্ধি, বামেরা রাস্তায় নামে না? 
সংঘাত নেই দুয়ের কোনও। সাম্রাজ্যবাদের হাতে, যুদ্ধবাজ-দাঙ্গাবাজদের হাতে, বড়লোকের দালালদের হাতে যে মানুষ দুনিয়ার যেখানে আক্রান্ত হবে, তার পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কাজ। নিঃসংশয়ে, নিঃসঙ্কোচে।  
পরিযায়ী শ্রমিকদের দাবির লড়াই, প্যালেস্তাইনের মুক্তির লড়াইকে সাহায্য করবে। আপাতভাবে সম্পর্ক না থাকলেও, আছে গভীর যোগাযোগ। গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার যুদ্ধটা নিজের পাড়া, নিজের রাজ্য, নিজের দেশ, নিজের দুনিয়া— সর্বত্র লড়তে হয়। 
পরিযায়ী শ্রমিক। ফের মনে পড়ালো হোমবাউন্ডের কথা। মাথা থেকে বেরোচ্ছে না গল্পটা। এমপ্যাথি। সিমপ্যাথি না, এমপ্যাথি। সহানুভূতি না, সহমর্মিতা। করুণা না, স্বাভাবিক মানবিক প্রবৃত্তি।

একে অপরের পাশে দাঁড়ানো মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। হয় মানবসভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবে, নতুবা, যারা মানবিকতার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থেকে মানুষকে বিযুক্ত করতে চাইছে, তারা ধ্বংস হয়ে যাবে৷ 
আমরা লড়ব। লড়বই।

Comments :0

Login to leave a comment