TMC attack party member

পার্টি সদস্যদের উপর হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের

রাজ্য জেলা

সমীক্ষা পরবর্তী আবাস যোজনার সংশোধিত তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে পাকা একতলা দোতলা বাড়ির মালিক তৃণমূলের নেতা কর্মীদের।বিডিও এর জন্য দায়ী নন। দায়ী সিপিআই(এম)। এই ধুয়ো তুলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় সিপিআই(এম)'র সদস্য গোলাম গাজি, আজিজুর রহমান ও সিপিআই(এম)'র ঘনিষ্ঠ সমর্থক আবুবক্কর গাজির উপর। ধারালো অস্ত্র, বাঁশ, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় তাদের। বর্তমানে সারা শরীরে গুরুতর আঘাত নিয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোলাম গাজি ও আবুবক্কর গাজি।প্রাথমিক চিকিৎসার পর আজিজুর রহমান গাজিকে ফেরত পাঠানো হয় বাড়িতে।


বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে স্বরূপনগর ব্লকের সন্ত্রাস কবলিত বালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের নবাতকাটি বাজারে। এই বাজারে দোকান আছে গোলাম গাজির। ওইদিন রাতে আচমকা সেখানে এসে হাজির হন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ইলিয়াস সেখ, তৃণমূলের অঞ্চল যুব নেতা জলিল সরদার স্থানীয় দুষ্কৃতী আবুজাফর গাজি, আবু সোহারাফ গাজি, সিরাজুল গাজি সহ অন্যান্য সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। তারা বলতে থাকে তোদের অভিযোগের কারণে পাকাবাড়ির মালিক তৃণমূল কর্মী প্রসেঞ্জিত মণ্ডল, আলমামুন হোসেন মোল্লাদের নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে। উত্তরে গোলাম গাজি,আবুবক্কর গাজি ও আজিজুর রহমান গাজিরা প্রতিবাদ করে এবং বলে আমরা কারোর নাম করে কোন অভিযোগ করিনি।
সিপিআই(এম)'র নেতৃত্বে গত ২৮ ডিসেম্বর স্বরূপনগর বিডিও অফিসের সামনে বঞ্চিত ঘর প্রাপকরা জমায়েত হয় ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। সেখানে বিক্ষোভ সভা ও ডেপুটেশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সভা থেকে পার্টির পক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল যাদের নামে, তারা প্রকৃত অর্থে ঘর পাওয়ার যোগ্য নয়। এর পাশাপাশি প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য অথচ তালিকা নাম নেই এমন বেশ কিছু নামের তালিকা জমা দেওয়া হয়। বালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০-১৫০ জনের নাম তালিকায় রয়েছে,যাদের পাকা একতলা দোতলা বাড়ি আছে। এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পাশাপাশি এলাকার আইসিডিএস ও আশা কর্মীরা সমীক্ষা করে নামের তালিকা জমা দিয়েছে বিডিও অফিসে। গোলাম গাজি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সংবাদমাধ্যমেকে জানায় আমরা ব্যক্তিগতভাবে কারোর নাম উল্লেখ করে কোন তালিকা জমা দেই নি। আর তাছাড়া আমাদের ক্ষমতা আছে যে, আমরা নাম কেটে বাদ দেব।


বিডিও বাদ দিয়েছেন। বৃথা অভিযোগ এনে আমাদের উপর আক্রমণ চালালো সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা।আমাদের তিনজনকে বেধড়ক মারধর করে এবং একটি ঘরে আটকে রাখে। এরপর স্থানীয় মানুষ রক্তাক্ত গোলাম গাজি, আবুবক্কর গাজি ও আজিজুর রহমানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় শাঁড়াপুল ডাকবাংলো প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আঘাত গুরুতর হওয়ায় গোলাম গাজি ও আবুবক্কর গাজিকে স্থানান্তরিত করা হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।নবাতকাটির ঘটনায় প্রমাণিত হলো আইসিডিএস কর্মী রেবা বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনা কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটি আত্মহত্যা নয়। এটি পরিকল্পিত হত্যা। শুক্রবার এমনই অভিযোগ আনলেন পার্টি নেতা হামাল উদ্দিন আহমেদ।

Comments :0

Login to leave a comment