Khoyrashol blast

বীরভূমে ফের বোমা ফেটে জখম তৃণমূল নেতা, ‘সিলিন্ডার বিস্ফোরণের’ তত্ত্ব শাসক- পুলিশের

রাজ্য জেলা

খয়রাশোলের লোকপুরের পর এবার দুবরাজপুরের সদাইপুর। একদিনের মধ্যে ফের মজুদ বোমা ফাটল তৃণমূল নেতার বাড়িতে। ঝলসে গিয়েছে নেতার দেহ। হাত পা ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে নেতার স্যাঙাতরা। দোসর হয়েছে পুলিশও। সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণের তত্ত্ব জাহির করতে মরিয়া হয়েছে উভয়পক্ষই। তবে গ্রামবাসীদের স্পষ্ট বক্তব্য,মজুদ বোমা ফেটেছে অথবা বোমা বাঁধতে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের সদাইপুর থানার হাজরাপুর গ্রামে। বোমা বাঁধা ও মজুতের কাজ চলছিল। সেই সময় বিস্ফোরণ হয়। গুরুত্বর জখম অবস্থায় গোলাম রসুল নামে ওই তৃণমূল নেতাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  মুখ থেকে বুক ও হাত পায়ে গুরুত্বর আঘাত লেগে জখম হয়। হাতদুটিও ক্ষতবিক্ষত যায় বোমার আঘাতে। এদিন সকালে তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ হাসপাতালে চত্ত্বরেও জড়ো হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বিস্ফোরণের পর থেকে গ্রামেও উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতাল - কড়া নজরদারি রেখে চলেছে জখম তৃনমূল নেতার দলবল। সংবাদমাধ্যম ছবি করতে গেলে দেওয়া হয়েছে বাঁধা। সেখানেই প্রশ্ন, সিলিন্ডার ফেটেই যদি বিস্ফোরণ হয়ে থাকে তাহলে এত গোপনীয়তা, রাখঢাক কেন?  হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,  জখমের শারিরীক অবস্থা গুরুতর। অভিযোগ অস্বিকার করে দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘সব মিথ্যা অভিযোগ। চা করতে গিয়ে গ্যাস সিলিণ্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। বোমা নয়।’’ একদিন আগেই এই বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের লোকপুর থানার ডেমুরটিটা গ্রামেও এক তৃনমূল নেতার নির্মিয়মান বাড়িতে মজুদ বোমা ফেটে কেঁপেছিল গ্রাম। যদিও জনহীন থাকায় কোনও হতাহতর ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে, সিউড়ি থানার ধল্লা গ্রামে তিনটি প্ল্যাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। প্রায় ৬০ টি তাজা বোমা ছিল। পুলিশ বোমাগুলি উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রাখে। খবর দেওয়া হয় বোলপুরে সিআইডি বম্ব স্কোয়ার্ডকে।

Comments :0

Login to leave a comment