TMC Workers Fighting

‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে অগ্নিগর্ভ দেগঙ্গা

রাজ্য

TMC Workers Fighting 'দিদির দূত'কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দেগঙ্গায়।

দিদির দূত কর্মসূচিতে একেবারে মন্ত্রীর সামনেই ধুন্ধুমার কান্ড বাঁধিয়ে দিল তৃণমূলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী। ছাড় পেলেন না এলাকার বিধায়ক। হাতাহাতি, মারামারিতে পরিস্থিতি কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।গন্ডগোল থামাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে। শেষে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় পড়ে যায় রাজনীতিতে। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের 'দিদির দূত'কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বঞ্চিত মানুষের বিক্ষোভ সামাল দিতে একপ্রকার বেসামাল তৃণমূল। যা আরও একবার উঠে এলো দেগঙ্গার ক্যানভাসে।

বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর ২৪পরগনার দেগঙ্গার চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির দূত কর্মসূচি সফল করতে আসেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি প্রথমে রায়কোলা সাত গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শন করেন এরপর রায়কোলা হাইস্কুলে ছাত্র - ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তারপর রওনা দেন চাকলা রায়পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে। চাকলা রায়পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করে ফেরার পথে দিদির দূত কর্মসূচি সময়সূচি ও স্থান পরিবর্তন করার অভিযোগ তুলে মন্ত্রীর সামনে ধস্তাধস্তিতে ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বাগবুল ইসলাম। বাগবুল ইসলামের দাবি, দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান রাতারাতি 'দিদির দূতের' কর্মসূচি পরিবর্তন করে ফেলেছেন। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হন বাগবুল ইসলাম। পাশাপাশি দলীয় আভ্যন্তরীণ ব্যাপার এটি গোষ্ঠী কোন্দল বলে অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত সদস্য। বাগবুল ইসলামের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান। তিনি বলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কর্মসূচি পরিবর্তন হয়েছে।


এখানে কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই। মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, কর্মসূচি পরিবর্তন করার ক্ষমতা ব্লক সভাপতির নেই। একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই বিক্ষোভ মারামারি হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করে নেন। পরে অবশ্য সমস্যা সমাধান হয়েছে বলে জানান। এদিকে চাকলা মন্দির থেকে মন্ত্রী যখন মধ্যাহ্নভোজের উদ্দেশ্যে পাথরঘাটা এলাকায় পৌঁছান সেখানে মন্ত্রীর সামনেই বাগবুল ইসলামের অনুগামী ও ব্লক সভাপতি অনুগামীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও মারামারি শুরু হয়। দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


পাথরঘাটা থেকে মন্ত্রী চাকলাম গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছালে মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডলকে দেখে এবার এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এমনকি বিধায়ক অনুগামীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় পঞ্চায়েতের সদস্যদেরকে নিয়ে ভিতর থেকে তালা দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন মন্ত্রী সুজিত বসু। এরপর এতটাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিধায়ক নিজের গাড়ি ছেড়ে মন্ত্রীর গাড়ি করে চাকলা পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে মঞ্জিলআটি এলাকায় কর্মসূচিতে যান। দিনভর চাকলায় দিদির দূত কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল কর্মী সাধারণ মানুষের মারামারি বিক্ষোভের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার জন্য।

Comments :0

Login to leave a comment