স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং পুলিশ মন্ত্রী দুই-ই মমতা ব্যানার্জি। তাঁর নেতৃত্বেই দালালরাজ তৈরি হয়েছে। সেখানে কেউ নিরাপদ নয়। কাউকে প্রতিবাদ জানাতে দেওয়া হচ্ছে না। যেখানেই প্রতিবাদ হয়, বলা হচ্ছে লাল ঝান্ডা থাকবে না। বাকিরা চুপিচুপি বোঝাপড়া করে নেবে। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে নিপীড়ন-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে এই মর্মে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন আরজি কর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে গেলে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই কর্মীদের মারধর করে পুলিশ। পুলিশি জুলুমের শিকার হন ছাত্রী এবং যুবতীরাও। সরাসরি কিল চড় ঘুঁষি মারতে দেখা যায় পুলিশ বাহিনীকে। প্রতিবাদ থামেনি। হাসপাতালে গেটের মুখে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআই(এম)। সেখানেই বক্তব্য রাখেন সেলিম।
আরজি কর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ডিউটিতে ছিলেন মহিলা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি চিকিৎসক। পরদিন সকালেই তাঁর রক্তাক্ত দেহ মেলে এমারজেন্সির সেমিনার কক্ষে। সারা শরীরে দশ জায়গায় মারাত্মক আঘাতের প্রমাণ ময়না তদন্তে মিলেছে। ভেঙে গিয়েছে গলার হাড়। মারাত্মক নিপীড়ন এবং খুনের চিহ্ন মিলেছে রক্তাক্ত সারা শরীরে। শনিবার সারা রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ।
সেলিম বলেছেন, ‘‘পুলিশমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনিই মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে দালালরাজ তৈরি হয়েছে। সেখানে কেউ নিরাপদ নয়। এই ভয়াবহ ঘটনা হতে পারে যে কারো পরিবারে।’’ সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা এবং মদতে চলা দুষ্কৃতীবাহিনী দুর্নীতি রাজ চালাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘কেন হাসপাতালে, বিশেষ করে, মহিলা চিকিৎসকদের বিশ্রাম নেওয়ার ঘর নেই। পুলিশকে পাঠিয়ে মমতা কেন প্রথমে বলালেন যে আত্মহত্যা। পুলিশ কমিশনার হাসপাতালে আসার আগেই কেন আত্মহত্যা বলেছিলেন।’’
পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ রয়েছে। শুক্রবার আরজি কর হাসাপাতলে ছিলেন ছাত্রযুব কর্মীরা। নিহত চিকিৎসকের দেহ নিয়ে চলে যাচ্ছিল গাড়ি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অভিযোগে সরব ছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস। ছাত্র-যুবরা গাড়ি আটকে বসে পড়েছিলেন।
সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূল মুক্তাঞ্চল করেছে। বামপন্থী ছাত্রযুবরা হাসপাতালে ঢুকতে পারবে না।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রতিবাদ করলে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রিন্সিপাল নিজে অপরাধী। তাঁকে সরাতে হবে।’’
আরজি কর হাসপাতাল থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত বিক্ষোভ সিপিআই(এম) এর। উপস্থিত ছিলেন সেলিম, রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার, রাজ্য কমিটির সদস্য তরুণ ব্যানার্জি, সুদীপ সেনগুপ্ত, কনীনিকা ঘোষ বোস, ফৈয়াজ আহমেদ খান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
RG KAR SALIM
শেষ দেখে ছাড়ব, চিকিৎসক হত্যায় হুঁশিয়ারি সেলিমের
×
Comments :0