কেন্দ্রীয় বাজেটে সংকীর্ণ প্রাদেশিকতার প্রতিফলন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, সংকীর্ণ স্বার্থে রাজনৈতিক উৎকোচ দেওয়ার কারবার করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এটা আসলে বিজেপি জোট সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম দিয়ে তুষ্ট করা। উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ নয়, এখানে সংকীর্ণ স্বার্থে রাজনৈতিক উৎকোচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাত-ধর্মের নামে ভেদাভেদের পাশাপাশি রাজ্যগুলির মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে প্রাদেশিকতার রাজনীতি হচ্ছে। এটা সংবিধান বিরোধী, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী।
সেলিম আরও বলেছেন, সবাই জানে পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা প্রকল্প অসম্পূর্ণ, গঙ্গার ভাঙন সমস্যা রয়েছে, উত্তরবঙ্গ এখনই বন্যাক্লীষ্ট। মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষ গঙ্গা পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সমস্যাগুলিকে সম্পূর্ণ অবহেলা করা হয়েছে। মোদী ভোটের আগে স্বপ্ন বিক্রি করেছেন, ‘মোদী গ্যারান্টি’র কথা বলেছেন। এখন বাজেটে সেগুলি আর নেই!
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যেভাবে বাংলাকে বঞ্চনার কথা বলেছেন, সেটাও তাঁর মুখে শোভা পায় না, বলে মন্তব্য করেছেন মহম্মদ সেলিম। বাজেটে অসন্তোষ প্রকাশ করে মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘ বাংলার আশপাশের রাজ্যগুলোকে ফ্লাড ম্যানেজমেন্টের টাকা দিল। একমাত্র রাজ্য বাংলা কী অপরাধ করল যে তাকে একা করে দিলে? এই সরকার বাংলাকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করলেও কিন্তু ভোটের ময়দানে দেখা হবে। বাংলা একা নয়, একাই একশো।’
সেলিম বলেছেন, বাংলার স্বার্থরক্ষার কথা মমতা ব্যানার্জি কোনোদিন ভাবেননি, এখনও ভাবেন না। উনি যখন কেন্দ্রে ছিলেন এবং রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল তখন উনিই রাজ্যকে বঞ্চিত করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। শিল্পে, কৃষিতে এমনকি বন্যা প্রতিরোধেও যাতে বাংলাকে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না দেওয়া হয় তার জন্য তিনি সক্রিয় থাকতেন। বাংলায় বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে তিনিই ‘ম্যান মেড’ বলে চালিয়েছিলেন, এমনকি আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের নদীবাঁধ নির্মাণে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দিয়েছিলেন।
Comments :0