সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বন্ধ। সাড়ে ৬ লক্ষ পদ শূন্য রাজ্যে। টাকার অভাবে নিয়োগ নেই। অবস্থানে ৯০০ দিন বসে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। সে রাজ্যেই বিধায়কদের বেতন চারগুণ বাড়ল।
বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর ঘোষণাকে এই ভাষাতেই কড়া আক্রমণ করলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করেন। চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘আজকের দিন রাজক্যে কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।’’
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘নিজেরাই নিজেদের বেতন বাড়িয়ে নিলেন? বাকিদের কথা খেয়াল করলেন না?’’
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিধায়করা ১০ হাজার টাকার বদলে ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন। প্রতিমন্ত্রীরা ১০,৯০০ টাকার বদলে ৫০ হাজার পাবেন এবং পূর্ণমন্ত্রীরা ১১ হাজার টাকার বদলে ৫১ হাজার টাকা করে পাবেন।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘এখনই সব ধরনের ভাতা ধরলে বিধায়কদের আয় আ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে। এরপর ফের বৃদ্ধি। অথচ বিধানসভা চলে বছরে ২২ থেকে ৩০ দিন। আগে বিধানসভা অন্তত ৬০-৬৫ দিন বসত। বিধায়কদের উপস্থিতিও কমে অর্ধেক হয়েছে। তাঁদের মাইনে বাড়ালেন। আর যাঁরা ৩৬৫ দিন কাজ করেন সেই সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের ডিএ হবে না?’’
চক্রবর্তী টেনে এনেছেন আন্দোলনরত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনও। ৯০০ দিন পার করে নিয়োগের দাবিতে তাঁরা রাস্তায়। নিয়োগ ঘিরে বিপুল দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলাও চলছে আদালতে। রাজ্যে এখন প্রতি বছর নিয়ম করে শিক্ষক নিয়োগ হয় না। শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষাও হয় না।
চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘রাস্তায় বসে রয়েছেন যাঁরা, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় তাঁদের মুখঘুলো একবার মনে পড়ল না? একবার মনে হলো না যে ওঁদের বঞ্চিত করে নিজেদের মাইনে বাড়াবো কী করে?’’
Comments :0