পূর্ণ রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের সামনের সারির নেতা লাদাখের সমাজকর্মী সোনম ওয়াঙচুকের মুক্তির দাবি জানালো সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। জানা গিয়েছে ওয়াঙচুককে রাজস্থানের যোদপুর জেলে বন্দি করা হয়েছে। তিনি জেলে অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শনিবার বিবৃতিতে পলিট ব্যুরো বলেছে, সোনম ওয়াঙচুকের ওপর চাপানো মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহার করতে হবে। লাদাখে আন্দোলনের দাবি মানতে হবে দ্রুত। গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের মধ্যে আনতে হবে।
উল্লেখ্য, উত্তর পূর্ব সহ দেশের বিভিন্ন অংশকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে আনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার স্থানীয় মানুষকে দেওয়ার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেয় এই ব্যবস্থা। লাদাখের এই আন্দোলন তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালুর দাবি জানাচ্ছেন।
লাদাখে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতির পাশাপাশি সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় আনার দাবিতে আন্দোলন চলছে দীর্ঘদিন। কেন্দ্রের তরফে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ায় অশান্তি ছড়ায়। তার দায় আন্দোলনকারীদের ওপর চাপানো হয়। শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে সোনম ওয়াঙচুককে।
পলিট ব্যুরো বলেছে যে সোনম ওয়াঙচুককে আটক করা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে দায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে। তা থেকে বোঝা যায় যে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কতটা স্বৈরাচারী। লাদাখের জনগণের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষাকে ঘৃণার চোখে দেখে বিজেপি।
পলিট ব্যুরো বলেছে যে লাদাখের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার বদলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করতে নেমেছে কেন্দ্র। গণতান্ত্রিক এবং মৌলিক অধিকারের ওপর গুরুতর আক্রমণ করা হচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের জনতাকে আরও বিচ্ছিন্ন করবে এই ধরনের পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যেই ছিল লাদাখ। ২০১৯-এ বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নিয়ে পূর্ণ রাজ্যকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। কেন্দ্রের শাসনে বিক্ষোভ রয়েছে দুই অংশেই। লাদাখ কেন্দ্রীয় শাসন থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
Sonam Wangchuk CPI-M
মুক্তি দিতে হবে সোনম ওয়াঙচুককে, দাবি পলিট ব্যুরোর

×
Comments :0