জি-২০’র বিকল্প নীতি নিয়ে চর্চা হওয়ার কথা ছিল হরকিষান সিং সুরজিৎ ভবনে। সেমিনার এবং কর্মশালার এই কর্মসূচি আটকে দিল দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত এই বাহিনীর আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিআই(এম)।
১৮-২০ আগস্ট হওয়ার কথা ছিল বিকল্প নীতি বিষয়ক এই কর্মশালা। জি-২০ গোষ্ঠী গড়ে উন্নয়নের যে নীতির কথা বলা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বিভিন্ন স্তরেই। বৈষম্যের উন্নয়ন নীতির বিকল্প নিয়ে চর্চা হওয়ার কথা ছিল। দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে সিপিআই(এম)’র হরকিষান সিং সুরজিত ভবনে হওয়ার কথা ছিল আলোচনা। দিল্লি পুলিশ জানায় আগাম অনুমতি না নিয়ে এই সভা ডাকা হয়েছে। ফলে তা করতে দেওয়া যাবে না।
শনিবার সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো দিল্লি পুলিশের একতরফা আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘নাগরিকদের কোনও বিষয়ের ওপর চর্চা এবং মতবিনিময় করার অধিকার রয়েছে। গণতান্ত্রিক এই অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দিল্লি পুলিশকে কাজে লাগানো হচ্ছে অধিকার হরণে।’’
পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘এই হস্তক্ষেপ একেবারেই অবাঞ্ছিত, ভিন্নমত দমনের আরেকটি প্রয়াস।’’ দিল্লি পুলিশের যুক্তি খারিজ করে পলিট ব্যুরো বলেছে, ‘‘হরকিষাণ সিং সুরজিৎ ভবনে পার্টি শিক্ষা এবং সেমিনার বহু হয়েছে। অন্য কর্মসূচিও হয়েছে। কখনও তার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হয়নি।’’
জি-২০’র সভাপতিত্ব এবার করছে ভারত। এই গোষ্ঠীর নিয়মেই প্রতিটি দেশ নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী পরপর এই দায়িত্ব পায়। নরেন্দ্র নোদী সরকার যদিও এই দায়িত্বকে বিশ্বমঞ্চে তাঁর সরকারের সাফল্য হিসেবে দেখাতে মরিয়া। জি-২০’র বিভিন্ন স্তরের বৈঠক বিভিন্ন শহরে চলছে। যেমন গুজরাটের গান্ধীনগরে গোষ্ঠীর দেশগুলির স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা বৈঠক করছেন। দিল্লিতে শীর্ষ বৈঠক হবে। তার আগে বিরোধী মত বোরিয়ে আসতে পারে এমন কোনও আলোচনা করতে দিতে রাজি নয় নরেন্দ্র মোদী সরকার।
দিল্লি পুলিশের এই মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও। তিনি বলেছেন, ‘‘নতুন ভারতে গণতন্ত্র এমনই! ‘উই টোয়েন্টি’ নাম দিয়ে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিত। তা সত্ত্বেও আটকানো হলো। এই আচরণ অস্বাভাবিক।’’
Comments :0