‘যমুনায় বিষ মেশানোর মিথ্যাচারের জবাব’ দিতেই ব্যস্ত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির নির্বাচনী জনসভায় বললেন, কেবল হরিয়ানা নয়। এমন মিথ্যা প্রচারে অপমান করা হয়েছে ভারতীয় সংস্কারকে। মানুষকে জল দেওয়া ধর্ম বলে মানা হয় এখানে।
বুধবারও দিল্লির নির্বাচনী প্রচার ময়দান সরগরম যমুনা নিয়েই। তার মধ্যেই মোদী আবার জনসভায় বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ, সুখ-স্বপ্নের দায়িত্ব আমার ওপর ছেড়ে দিন। আপনাদের সব দায়িত্ব আমার।’’ 
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন যমুনা সংক্রান্ত প্রচার নিয়েই নোটিশ পাঠিয়েছে আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তার আগে বিজেপি দেখা করে কেজরিওয়ালের প্রচার সম্পর্কে অভিযোগ তোলে। কমিশনে বিজেপি বলে যে কেজরিওয়াল নির্বাচনী প্রচারে বলছেন হরিয়ানা থেকে বিজেপি যমুনায় বিষ মেশাচ্ছে। এর ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।
কমিশন কেজরিওয়ালকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছে ‘বিষ মেশানোর প্রমাণ দিতে হবে। নয়তো আইনি ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে।’
এদিকে বুধবারই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং ‘আপ’ নেত্রী অতিশীকে একই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দিল্লির উপরাজ্যপাল। অতিশী জবাবে বলেছেন, যমুনার জলে অ্যামোনিয়ার মাত্রা বিপদসীমার তুলনায় ৭০০ শতাংশ বেশি। 
দিল্লিতে বিধানসভা ভোট ৫ ফেব্রুয়ারি। তার আগে বুধবারই নির্বাচনী ইশ্‌তেহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসও কমিশনে দেখা করে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে। 
প্রবল বিতর্কের মধ্যেও প্রচারে জোর কমাচ্ছে না ‘আপ’। এদিন একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে মৈথিলী ভাষায় গানের। দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘ঝাড়ু’-তে ভোট দিয়ে দিল্লির বিকাশ অব্যাহত রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে এসে দিল্লিতে বসবাসকারী অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক পরিবারের জন্য এই বিশেষ প্রচার। 
দিল্লিতে এসে মঙ্গলবারও প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বুধবার ভোর থেকেই সারা দেশের খবরে এলাহাবাদ বা প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে কুম্ভমেলায় মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। আদিত্যনাথ এবং বিজেপি-কে আক্রমণ করে ‘আপ’ বলেছে, ‘দিল্লিতে এসে ধমক-চমকের রাজনীতি। আর নিজের রাজ্যে অপদার্থতা।’