দেশে, পশ্চিমবঙ্গেও দেখানো হবে গুজরাট গণহত্যার তথ্যচিত্র। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন এসএফআই’র সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দাও করেছেন তিনি।
ফ্যাসিস্ট শাসক যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা ফের দেখালো বিজেপি। মঙ্গলবার রাতে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যচিত্রের প্রদর্শন আটকাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট সংযোগও। আর সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ফের আক্রমণ করে ছাত্রছাত্রীদের ওপর।
ছাত্রছাত্রীরা দল বেঁধে বসন্ত কুঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মঙ্গলবার রাতেই। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশ। এর আগেও ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলায় অভিযুক্ত এবিভিপি’র কাউকে গ্রেপ্তার করেনি দিল্লি পুলিশ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র তৈরি এই তথ্যচিত্র সোশাল মিডিয়ায় দেখানো বন্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০০২’তে গুজরাট গণহত্যায় সে সময়ের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তথ্যচিত্র। সংখ্যালঘু হত্যার একের পর এক ঘটনার সময়েই বিরোধীরা, বিশেষ করে বামপন্থীরা, এ কথাই বলেছেন। প্রশাসনের মদত না থাকলে এভাবে দিনের পর দিন সংখ্যালঘু হত্যা, ধর্ষণ, অত্যাচার চলতে পারে না। এবার বিবিসি’র তথ্যচিত্রে মোদীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই চাপা ঢাকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি।
কেরালায় ডিওয়াইএফআই তথ্যচিত্র দেখানোর ঘোষণা করেছে। হায়দরাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই দেখেছেন তথ্যচিত্র। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি এবং এবিভিপি। কেরালায় এসএফআই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্যচিত্র দেখানোর ঘোষণা করেছে।
ময়ূখ বুধবার বলেছেন, ‘’কোন ধরনের সমালোচনা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং আরএসএস সহ্য করতে পারে না। তাই একের পর এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিজেদের কব্জায় আনার জন্য আদানি-আম্বানিদের সাহায্য তারা নিচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে জেএনইউ তে যেই ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়েও তথ্যচিত্রের প্রদর্শন ওরা আটকাতে পারেনি। ঢিল ছুঁড়েও ওরা ছাত্র-ছাত্রীদের দমাতে পারেনি। গোটা দেশ জুড়ে এমনকি আমাদের পশ্চিমবঙ্গেও এই তথ্যচিত্র পাড়ার মোড়ে মোড়ে দেখানো হবে। "
মঙ্গলবার এর রাতের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জে এন ইউর ছাত্র-ছাত্রীরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগ সরাসরি এবিভিপি এবং বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দায়ের হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
গুজরাট গণহত্যার পর্বে কেন্দ্রের বিজেপি জোট সরকারের শরিক ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০০৪ পর্যন্ত চলেছে সেই সরকার। দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি সেই সরকারে মন্ত্রী থেকেছেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ’র শরিকও থেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
Comments :0