আন্দোলনের তেজ দেখে হকারদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা থেকে সরতে বাধ্য হল পূর্ব রেল।
সোমবার সকালে চন্দননগর স্টেশন চত্বরে চন্দননগর স্টেশন এরিয়া হকার্স কো অপারেটিভ সোসাইটির অবস্থান বিক্ষোভ চলছিলো। পরে হকার প্রতিনিধিদের সাথে চন্দননগর স্টেশন মাস্টারের ঘরে ডাকতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। হকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে তিন মাসের জন্য উচ্ছেদের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। এই তিনমাসের হকার প্রতিনিধিদের ডিআরএম’র সঙ্গে বসে পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, পুনর্বাসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন একমাত্র ডিআরএম। তিন দিন ধরে রেল হকারেরা কাজ বন্ধ রেখে চন্দননগর স্টেশনের সামনে লাগাতার অবস্থানে বসেছিলেন। এদিন তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন সংগঠন এই অবস্থানে অংশগ্রহণ করেন।
রেল হকার বাপ্পাদিত্ত রায় ও দেবব্রত দে জানান, ‘‘সপ্তাহখানেক আগে রেল কর্তৃপক্ষ নোটিশ দেয়। বলা হয় তিন তারিখের মধ্যে দোকান সরিয়ে নিতে হবে। না হলে ৩ এপ্রিল উচ্ছেদ শুরু হবে। রেলের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নামি। আমাদের একটাই দাবি, যথাযথ পুনর্বাসন দেওয়া হোক। পুনর্বাসন দিয়ে স্টেশনের আধুনিকীকরণ হোক।’’
রেল হকাররা জানিয়েছেন যে স্টেশন আধুনিকীকরণের নামে বেসরকারি ক্ষেত্রের বড় বড় বিপনী সংস্থাকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রেল হকারদের রুজি-রুটি বন্ধ করে দিলে কোথায় যাবেন তাঁরা? তাঁরা বলছেন, ‘‘রেল যদি প্রকৃত আধুনিকীকরণ করতে চায় আমাদের ব্যবসা করে রুজিরুটি বজায় রাখার সুযোগ দিক।’’
Comments :0