জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোসাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা দুটি খসড়া গবেষণাপত্র তৈরি করেছেন। মঙ্গলবার এই দুটি খসড়া তুলে দেওয়া হয়েছে সেন্টারের চেয়ারম্যান বিমান বসুর হাতে।
যে দুটি খসড়া তৈরি হয়েছে তার একটি হলো –‘স্টেট অব বেঙ্গল ইকনমি।’ মূলত গত এক দশকে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি, মূলত কৃষি, শিল্প এবং বেকারির ক্ষেত্রে কোন অবস্থায় পৌঁছেছে তাই বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই খসড়ায়। এদিন সেটি বিমান বসুর হাতে তুলে দেন অর্থনীতিবিদ ঈশিতা মুখার্জি। অন্য খসড়াটিতে মূলত বিশ্লেষণ করা হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বর্তমান হাল। সেটি তরুণ গবেষকদের প্রতিনিধি হিসাবে পৃথ্বী বণিক চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
এদিন রাজারহাটে জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোসাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পক্ষ থেকে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে এই সেন্টারটির ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, সেখানেই আয়োজিত হয়েছিল এই সভা। খসড়া গবেষণাপত্র দুটি সেন্টারের চেয়ারম্যানের হাতে তুলে আগে সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা অছি পরিষদের সদস্য, প্রাক্তন সাংসদ এবং সাবেক বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘অনেকেই এই সেন্টার তৈরির জন্য সাহায্য করছেন। আরও সাহায্যের দরকার আছে। জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবসে মিলিত হয়েছি। এই সেন্টারের মূল কাজ হবে গবেষণা, সমাজ চর্চা, নানা বিষয়ে চর্চা। তার কিছু সূত্রপাত আমরা করেছি। পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। সময় লাগবে। লোকবল লাগবে। অর্থ লাগবে। সেই কাজ চলবে। কিন্তু আমাদের মূল কাজ থেমে থাকতে পারে না। তারই অঙ্গ হিসাবে ছোট একটি রিসার্চ টিম কাজ শুরু করেছেন। এবং গত কয়েক মাস ধরে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে দুটি খসড়া পেপার তৈরি হয়েছে। তাই এদিন তুলে দেওয়া হয়েছে বিমান বসুর হাতে। এমন কাজ আমরা আরও করব।’’
মহম্মদ সেলিম বলছেন,‘‘অনেকে আছেন যাঁরা নানা বিষয়ে চর্চা, গবেষণা করছেন। শিক্ষা, স্বাস্ত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, দারিদ্র্য, বেকারিসহ নানা বিষয়ে কাজ করছেন। আমরা তাঁদের কাছে আবেদন জানাবো জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোসাল স্টডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পাশে দাঁড়াতে। থট লিডারশিপ প্রোজেক্ট এটি। আমরা যাঁরা রাজনীতি করি আমরা সব বুঝি তা নয়। প্রতিদিন নানা ঘটনা ঘটছে। নানা ঘাত প্রতিঘাত ঘটছে। সেগুলিকে উপলব্ধিতে আনা, তথ্য সংগ্রহ করা, তত্ত্বগতভাবে মার্কসবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে, প্রগতিশীল দৃষ্টকোণ থেকে তার ব্যাখ্যা করা এবং তার ভিত্তিতে আমাদের কাজ হবে আন্দোলন সংগ্রামের অভিমুখ ঠিক করা, বিস্তৃত করা। পাশাপাশি দুর্দশা থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খোঁজা। সেই কাজ আমরা এই সেন্টার থেকে করব।’’
Comments :0