Maldaha Deputation

নির্বাচনে মেরুকরণের জন্য বাংলাদেশি জিগির, মালদহে বিক্ষোভ সভায় খেতমজুর নেতৃবৃন্দ

জেলা

মালদহে খেতমজুর ইউনিয়নের ডাকে ডেপুটেশন।

বিধানসভা ভোটের আগে কৌশল করে বাংলাদেশি জিগির তোলা হচ্ছে। মেরুকরণের রাজনীতিতে এই পরিকল্পনা আরএসএস-বিজেপি’র।  
সোমবার মালদহে দশ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ডেপুটেশনের পর একথা বলেছেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। মালদহে বহু শ্রমিককে অন্য রাজ্যে গিয়ে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে।
রেগা প্রকল্পে কাজ চাই, মজুরির বৈষম্য বন্ধ কর, দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি, ২০০ দিন কাজ, ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া এ রাজ্যের মানুষকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে অত্যাচার ও হয়রানি বন্ধ করা, নদী ভাঙন ও বন্যা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, স্মার্ট মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করা, জীবনদায়ী ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দ্রব্যমূল্য রোধ সহ অন্যান্য দাবিকে সামনে রেখে সোমবার সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের মালদহ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার মালদহ টাউন হলে কনভেনশন হয়। 
শেষে মিছিল করে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে জেলা শাসকের দপ্তরে গিয়ে ১০ দফা দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার বলেন, দীর্ঘদিন  ধরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষত খেতমজুরদের জীবন জীবিকায় চরম সংকট নেমে এসেছে। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ করছে না। আবার দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। যার ফলে রাজ্যের মানুষ কাজ না পেয়ে ভিন্ন রাজ্যে কাজে গিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। এনিয়ে খেতমজুর ইউনিয়ন রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করছে। সভা, সমাবেশ মিছিলের পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে বিডিওকে ডেপুটেশন দিচ্ছে। সামনে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আরএসএস বিজেপি ও তৃণমূল রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে খেলা শুরু করেছে ধর্ম ও ভাষা নিয়ে। 
গণআন্দোলনের নেতা সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে রাজ্য, কাজ না পেয়ে ভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া এরাজ্যের ভারতীয় নাগরিক যারা পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে পরিচিত। অথচ এদের অধিকার আছে অন্য রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার। তা সে কর্মসংস্থান হোক, শিক্ষার জন্য হোক বা অন্য কারণেই  হোক। দিল্লি সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আক্রমণ নামানো হচ্ছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু হলে এই আক্রমণ আরো তীব্র হচ্ছে। গোটাটাই আরএসএস -বিজেপির পরিকল্পনা। 
রামচন্দ্র ডোম বলেন, রাজ্যে কাজ নেই তাই রাজ্যর মানুষ দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে কাজ করতে যাচ্ছেন পরিবারকে বাঁচাতে। রাজ্যের সরকারে আসীন তৃণমূল কংগ্রেসও দায়ী এই হেনস্তার জন্য। 
এদিন ডেপুটেশনে ছিলেন বিশ্বনাথ ঘোষ, জমিল ফিরদৌস, অনিমেষ সিনহা, সুনীতি সোরেন, সেখানে খলিল, বদরুদ্দোজা, নজরুল ইসলাম, সুফল মন্ডল।

Comments :0

Login to leave a comment