লুকানোর চেষ্টা করে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু বাস্তবে চড়া মূ্লবৃদ্ধিতে নাকাল দেশবাসী। এই মর্মে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুটাকার দামে পতন থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ের মতো অর্থনৈতিক মাপকাঠি পরপর তুলে কেন্দ্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন।
টাকার দামে পতন চলছেই। প্রতি ডলারের দাম হয়েছে ৮৬.৫০ টাকা। ফলে তেলের মতো জরুরি আমদাবিরও খরচ বাড়ছে। তার ওপর শেয়ার বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে বিভিন্ন বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ সংস্থা। গত চার দিনে শেয়ার বাজার থেকে প্রায় ২৪.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
এমন একাধিক তথ্য তুলে মোদীর সমালোচনায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে যে আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির বিশেষ ভরসা হয়ে উঠেছেন উগ্র দক্ষিণপন্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখনও রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেননি তিনি। কিন্তু ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে ভারতের বাজার থেকে বিনিয়োগ সরে যাচ্ছে। ফলে ডলারের চাহিদা টাকার তুলনায় বাড়ছে। গত তিন মাসে প্রায় ২.৮৬ শতাংশ কমেছে টাকার দাম। আর ১৩ জানুয়ারি এক দিনেই টাকার দাম ৩২ পয়সা কমে গিয়েছে।
আইসিআইসিআই ডিরেক্টের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাখ্যা, ট্রাম্পের শাসনে বাড়তি মুনাফা বা প্রতিদান মিলবে বলে মনে করছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সুদের হার ফের বাড়তে পারে আমেরিকায়। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং কাজের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সুদের হার কমানো ছিল। সুদের হার বাড়লে বন্ড বা শেয়ার থেকে বাড়তি প্রতিদান আশা করছে এই সংস্থাগুলি।
কিন্তু বিরোধীদের সঙ্গে বিভিন্ন অংশ প্রশ্ন তুলছে ভারতের মুদ্রা টাকার দামেই এমন বড় মাত্রায় পতন হচ্ছে কেন। সম্প্রতি দারিদ্রের হার ৪ শতাংশে নেমে যাওয়ার দাবি জানিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক। যার অর্থ জনতার ক্রয়ক্ষমতা এবং চাহিদা বেড়েছে। সেখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ার কথা। মোদী অর্থনীতি এবং জনতার আয়ে বৃদ্ধির খবর শোনালেও বাস্তব তা নয়, বলছে এই অংশ। মোট জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির হার চলতি অর্থবর্ষে ৬.৪ শতাংশে দাঁড়াচ্ছে। গত অর্থবর্ষে হার ছিল ৮.২ শতাংশ। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে বিনিয়োগ সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে এই সব বিষয় কাজ করছে।
খাড়গে বলেছেন, ‘‘দেশের বিদেশি বিনিয়োগের সঞ্চয় দশ মাসে সবচেয়ে কম এখন। শেয়ার বাজারে আর্থিক সম্পদের মূল্য ২৪.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা কমে গিয়েছে মাত্র চার দিনে। ডলারের তুলনায় টাকার দাম নেমে যাওয়ায় আমদানির খরচ বাড়ছে। বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতিও।’’
প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘‘চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা যতই করুন। বাস্তব হলো চড়া হারে মূল্যবৃদ্ধিতে জনতার হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রোজগার। তাঁদের জীবন শোচনীয় হয়ে পড়ছে।’’
Fall in Rupee Kharge
চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা ধরা পড়েছে টাকার পতনে, মোদীকে বলছেন খাড়গে
×
Comments :0