গ্রামে একশো দিনের কাজে প্রবল দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার শাস্তি দিচ্ছে গরিব মানুষকে। রেগায় অর্থ দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্র। কাজ নেই গ্রামে। প্রতিবাদে ২৮-৩০ রাজ্যজুড়ে পথে নামবে বামফ্রন্ট। কেন্দ্রীয় মিছিল হবে ২৯ মার্চ, কলকাতায়।
শুক্রবার বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এই কর্মসূচি জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, হিসাবে গরমিল থাকলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্রীয় সরকার, শাস্তি দিক তাদের। কিন্তু তার বদলে রাজ্যের গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া কেন? আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
বৃহস্পতিবারই বামফ্রন্টের বৈঠক হয়েছে এবং সেই বৈঠক থেকে এমএনআরইজিএ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ বন্ধের প্রতিবাদে কর্মসূচী স্থির হয়েছে। ২৮ মার্চ সর্বত্র প্রচার ও পথসভা হবে। ২৯ মার্চ কলকাতায় কেন্দ্রীয় ভাবে মিছিল করা হবে। দুপুর আড়াইটেয় মৌলালির রামলীলা পার্কের সামনে থেকে মিছিল শুরু হবে এবং মিছিল শেষ হবে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে। ৩০ মার্চ জেলায় জেলায় পথসভা ও প্রচার করা হবে।
বসু বলেন, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বহু অভিজ্ঞতা বামপন্থীদের আছে, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে আমাদের। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার আসার পর থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমরা বহু মিটিং মিছিল ধর্মঘট, সেমিনার কনক্লেভ সংগঠিত করেছি। এমনকি ২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পরেও তৎকালীন বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের প্রাপ্যের কথা বলা হয়েছে, দিল্লিতেও এই দাবি করা হয়েছে। রাজ্যবাসীর স্বার্থে বামফ্রন্ট বরাবরই সরব।
২৯ মার্চ কলকাতায় বামফ্রন্টের মিছিলের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ধরনায় বসার কথা। তাহলে বামফ্রন্টের কর্মসূচীর অনুমতি পুলিশ দেবে কী? সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে বিমান বসু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধরনায় বসবেন রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে। মৌলালি থেকে আমাদের মিছিল শেষ হবে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির সামনে, দুটোর মধ্যে দূরত্ব অনেক।
Comments :0