পরিবেশকে নষ্ট করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে লড়াই জরুরি। বামপন্থীরা সে চেষ্টা করছে। মুনাফার জন্য বিক্রি হচ্ছে নদী, জঙ্গল পাহাড়। মোদীর নেতৃত্বে গুজরাটে সরবমতীর জমি বিক্রি হয়েছে। এ রাজ্যে জলঙ্গীর মতো নদী দখল করে একই কায়দায় মুনাফা তোলা হচ্ছে মমতা ব্যানার্জির সরকার আর তাঁর দলের সক্রিয়তায়।
মঙ্গলবার এই মর্মে সরব হলেন সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সদস্য এবং রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘ডুয়ার্সে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন জঙ্গলের জমি দখল করে রিসর্ট বানাচ্ছে।
সেলিম বলেন, ‘‘নদীমাতৃক দেশ আমাদের। নদী বাঁচাতে হবে। মধ্য প্রদেশ, দক্ষিণ ভারত, ছত্তিশগড়ে নদী বিক্রি হয়েছে। সবরমতীতে নদী সংকীর্ণ করে জমি বিক্রির রাস্তা দেখিয়েছিলেন। সেই পথেই চলছেন মমতা। মোদী মডেলে কালীঘাট, আদিগঙ্গায় তা-ই হচ্ছে। নদীপথ সংকীর্ণ করে জমি দেওয়া হচ্ছে ভাই-ভাতিজাকে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘আমরা প্রকৃতি বাঁচানোর আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে পরিবেশবিদদের জড়ো করছি। আন্দোলন না করলে পরিবেশ বাঁচবে না।’’
যোশীমঠের মাপের ধস রানিগঞ্জেও নামার আশঙ্কা এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন যে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রভাবিত হতে পারেন ধসে। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রকে বারবার বলা হলেও বিষয়টি দেখছে না।
এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘মমতা ব্যানার্জি রানিগঞ্জের কথা বলছেন তা’হলে ডেউচা পাচামি কী করছেন? আদানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। হিমালয়ে কী হচ্ছে, দার্জিলিঙয়ে কী হচ্ছে। পূর্ব হিমালয়ের এই অংশের গঠন এখনও হচ্ছে। ভূ-তাত্ত্বিকরাই বলছেন, পরিবেশবিদরা বলছেন। এখানে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।’’
রানীগঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডেরও ব্যর্থতা আছে। খোলামুখ কয়লাখনির বিপজ্জনক প্রভাব পড়ছে। আবার কয়লা চুরিও হচ্ছে। সংগঠিত অপরাধ চক্র না থাকলে তা চলতে পারে না। এই চক্রের মাথায় রয়েছে পিসি-ভাইপো। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আর বিজেপি’র কোনও তফাৎ নেই। এরা প্রকৃতির সম্পদকে লুট করতে চাইছে। লুটেরাদের হাত শক্ত করতে চাইছে।
Comments :0