শম্ভু চরণ নাথ
গোটা রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে, তা রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। পুলিশ, বিডিও, এসডিও, এসপি- যত আমলা রয়েছে তাদের ব্যবহার করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার কোনো আমলার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি। দিদি এবং মোদীর বোঝাপড়া না থাকলে এটা হতে পারে না। সরকার আমলাদের উপর নির্ভর করে ভোট লুট করেছে। যে বিজেপি, সে-ই তৃণমুল। এক দিকে দিদির লুট, অন্য দিকে মোদির লুট চলছে। আলিপুরদুয়ারে সিপিআই(এম)’র সাধারণ সভায় এ কথা বলেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
উল্লেখ্য, আইএএস এবং আইপিএস আধিকারিকদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় কর্মী নিয়োগ, জন অভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রক।
সেলিম বলেন, লোকসভায় দেশের চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রের সরকারে আসীন সাম্প্রদায়িক শক্তিকে হটানো। এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নীতি -আদর্শ দরকার। আর সেটা তৃণমূলের নেই। মানুষ তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন তাই আমাদের ভোটের শতাংশ অনেকটাই বেড়েছে। বিজেপি’র ভোট কমেছে। সাধারণ মানুষে, আদিবাসী, খেটে খাওয়া মানুষ, দুর্বল অংশের মানুষ, ছাত্র, যুব জীবন জীবিকা লড়াইয়ে যাঁরা আমাদের উপর ভরসা করেছেন, তাঁদের আরও সংগঠিত করে সামনের লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে হবে।
আলিপুরদুয়ার পৌরসভা হলে শুক্রবার সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন। ছিলেন জেলা সম্পাদক কিশোর দাস এবং রাজ্য কমিটির সদস্য অলোকেশ দাস সহ নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন মৃণাল সেনগুপ্ত।
রাজ্য নেতৃত্ব অলোকেশ দাস বলেন ধূপগুড়ি মতো উপনির্বাচন পরিকল্পিত ভাবে জলপাইগুড়ি পার্টি দপ্তরে হামলা নিন্দনীয় করেন। পার্টিনেতা জিয়াউল আলমদের ৩১ তারিখ পর্যন্ত আটকে রাখতে এই চক্রান্ত। আসলে ওরা ভয় পাচ্ছে।
এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেলিম বলেন, বেঙ্গালুরুতে ঘোষিত ২৬ টি বিজেপি বিরোধী দলের মঞ্চ 'ইন্ডিয়া' ৷ এটি কোনও নির্বাচনী জোট নয় । লুটের বিরুদ্ধে এই মঞ্চ ৷ এ রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট হবে না। এই মঞ্চের লক্ষ্য দেশে বৈচিত্রের ধারাকে রক্ষা করা৷" বিরোধী মঞ্চ প্রসঙ্গে সেলিমের আরও বক্তব্য, ‘‘ভারতের সংবিধান, মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে প্রচার করা হবে । তার উপর নির্ভর করবে কে কত দূর যাবে। আসন বণ্টন হবে রাজ্যে রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থান অনুযায়ী।’’
এদিন জলপাইগুড়িতে সিপিআই(এম) দপ্তরে হামলার প্রতিবাদে এবং পার্টিনেতা জিয়াউল আলম সহ প্রত্যেকের মুক্তির দাবিতে মিছিল হয় আলিপুরদুয়ার শহরে।
Comments :0