CBI DOCTORS

ভরসা রাখুন, এগচ্ছে তদন্ত, চিকিৎসকদের কাছে দাবি সিবিআই’র

রাজ্য

সিজিও কমপ্লেক্স অভিমুখে চিকিৎসকদের মিছিল।

হাইকোর্ট তদন্তের ভার দিয়েছিল ১৩ আগস্ট। প্রায় ১৮ দিন পরও তদন্ত এগচ্ছে না কেন?
সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে সরাসরি এই প্রশ্ন তুলল চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস। এদিন সল্টলেকে স্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে মিছিল করে যান চিকিৎসকরা। স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন যে কেবল আদালত নয়। আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের তদন্তে নজরদারি থাকছে জনতার, চিকিৎসকদেরও।
শনিবার মঞ্চের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করেন সিবিআই’র আধিকারিকদের সঙ্গে। প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে তদন্তে গতি আনার দাবি জানানো হয়েছে সরাসরি। সিবিআই আধিকারিকরা তাঁদের আশ্বস্ত করতে চেয়ে বলেছেন যে চেষ্টা হচ্ছে আদালতে পোক্ত প্রমাণ এবং তথ্য হাজির করার। সেই কারণে সময় কিছুটা নেওয়া হচ্ছে। 
প্রতিনিধিদলে ছিলেন চিকিৎসক সুকান্ত চক্রবর্তী এবং কৌশিক চাকী। সুকান্ত চক্রবর্তীও জানিয়েছেন যে তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন আধিকারিকরা। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার আর জি করেরে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করেনি। কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরায়নি। এমনকি একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িত ‘নর্থ বেঙ্গল লবি’-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। জুনিয়র ডাক্তার কেবল নয়, রাজ্যের মানুষ তদন্তে অগ্রগতি চাইছেন। এ কথা বলা হয়েছে সিবিআই-কে।  
হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতির অবস্থানে দৃঢ় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সব স্তরের চিকিৎসকরাই তীব্র ক্ষোভ জানাচ্ছেন রাজ্য প্রশাসনের তরফে বারবার তদন্তকে ধামাচাপা দেওয়ার। বস্তুর হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে তদন্ত তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। তথ্য প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগও বারবার উঠছে।
চিকিৎসক প্রতিনিধিদল সিবিআই-কে বলেছে যে জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাভাবিক কাজে ফেরার কথা বলা হচ্ছে। অথচ তদন্তে অগ্রগতির কোনও লক্ষণ নেই। অন্তত সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখুন। 
সিবিআই’র বক্তব্য, ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি এই মামলার। সেখানে বন্ধ খামে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়া হবে। সে কারণে বাইরে তদন্ত সংক্রান্ত কোনও তথ্য বিনিময় করার উপায় নেই। তবে আদালত বললে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জনতার সামনে আসতে পারে।    
 

Comments :0

Login to leave a comment