রাজ্যের কোন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলো জানা গেল না। আসলে দু’শো মিটার হচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূলের একসঙ্গে পথ চলার রোডম্যাপ। শনিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠক প্রসঙ্গে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, দু’পক্ষই সাজানো মঞ্চে একে অপরের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্বাঞ্চলের চার রাজ্য বিহার, ওডিশা, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিজেপি’র অন্যতম শীর্ষনেতা অমিত শাহ। এই বৈঠকের পর নবান্নের চোদ্দতলায় তাঁকে বরণ করে নিয়ে যান তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি। প্রায় দু’শো মিটার পথে শাহের গাড়িতে সওয়ারও হন মুখ্যমন্ত্রী। একান্ত বৈঠক প্রসঙ্গে বক্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন শাহ এবং মমতা।
মহম্মদ সেলিমকে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ বৈঠকের উপলক্ষ যাই থাক, লক্ষ্যটা বোঝা গেল। লক্ষ্যটা হচ্ছে, আরও কাছাকাছি, আরও পাশাপাশি। ২০০ মিটার হচ্ছে, আগামী দিনে আরও কয়েক কিলোমিটার পথ চলার রোডম্যাপ। ২০০ মিটার হচ্ছে বিজেপি-তৃণমূলের পথ চলার রোডম্যাপ।’’ তিনি বলেন, ‘‘ আইন আইনের পথে চলবে, না লাইনে চলবে, সেই পথের দিশাই দিয়েছে ২০০ মিটার।’’
আদালতের নির্দেশে রাজ্যে একাধিক দুর্নীতিতে চলছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই এবং ইডি’র তদন্ত। বামপন্থীরা দাবি তুলছেন, দুর্নীতির মাথাদের খুঁজে বের করতে হবে। তদন্তের শ্লথতায় ক্ষোভ জানাতে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টকেও। সেই পরিস্থিতিতেই হয় এই বৈঠক।
মহম্মদ সেলিম বলন, ‘‘রাজ্যের যে সমস্যা, বিএসএফ নিয়ে যেসব সমস্যা তার কতোটা আলোচনা হলো, উত্তরবঙ্গ নিয়ে কথা হলো তা জানা গেল না। মমতা ব্যানার্জি যখনই কোনও বৈঠক করেন, তখনই ফলাও করে বলেন, এই আমাদের দাবিসনদ। আমরা এইসব বলেছি। সেটা আজকে তিনি কিছু বললেন না। প্রতিদিনই দু’পক্ষ সাজানো মঞ্চে হুঙ্কার দিচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে একে অপরকে কী স্বার্থরক্ষা করল একান্ত সভায়।’’
শনিবার বড়বাজার এবং বরানগরে দু’টি সভায় বক্তব্য রাখেন মহম্মদ সেলিম। বড়বাজারে স্ট্রিট হকার্স ইউনিয়নের কলকাতা জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশ হয়। সেলিম সতর্ক করেন বিভাজনের রাজনীতির সম্পর্কে। হকারদের পরিচয়পত্রের দাবি মানছে না রাজ্য দুর্বার আন্দোলনের আহ্বানও জানান তিনি।
Comments :0