উত্তর দিনাজপুর জেলার বটলিফ ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের শারদোৎসবের বোনাস সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বৃহস্পতিবার ভেস্তে যায়। এই বিষয়ে ইসলামপুর মহকুমা শাসকের মিটিং হলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। রাজ্য সরকার নির্ধারিত ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থাকে শ্রমিক সংগঠনগুলি। কিন্তু মালিকপক্ষ ১৫ শতাংশ বোনাসে রাজি হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালিকপক্ষ, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
সিআইটিইউ অনুমোদিত পশ্চিম দিনাজপুর চা বাগিচা শ্রমিক ইউনিয়ন ও আইএনটিইউসি-র প্রতিনিধিরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থাকলেও, তৃণমূল কংগ্রেস অনুমোদিত আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব মালিকপক্ষের পক্ষে সওয়াল করে ১৭.২৫ শতাংশ বোনাসে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের এই অবস্থানে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, শাসকদল অনুমোদিত ইউনিয়নের নেতারা গোপনে মালিকপক্ষের সাথে আঁতাত করে শ্রমিক স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকাকেও অমান্য করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
বৈঠক চলাকালীন প্রবল বাদানুবাদের জেরে আলোচনার পরিবেশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত বোনাস সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই মিটিং ভেস্তে যায়। বাইরে উপস্থিত একাধিক শ্রমিক অভিযোগ করেন, “শাসকদলের ইউনিয়নের নেতারা শুধু নিজেদের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত, শ্রমিক স্বার্থ তাঁদের কাছে মূল্যহীন। মালিকের সঙ্গে গোপন বৈঠকে তাঁরা ব্যস্ত থাকেন।” বর্তমানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত, এবং বোনাস ইস্যু নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে সিআইটিইউ অনুমোদিত পশ্চিম দিনাজপুর চা বাগিচা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন গুহ নিয়োগী বলেন, "আমরা এদিনের কোনও চুক্তিতে সই করিনি। আমাদের দাবি রাজ্য সরকার এবার বটলিফ শ্রমিকদের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করেছেন। আমরা সেই দাবিতে অনড় ছিলাম এবং আছি। আমরা ডুয়ার্সের বটলিফ ফ্যাক্টরিতে বোনাস ঘোষনার জন্য অপেক্ষা করছি। তারপরে আমরা আমাদের আন্দোলন শুরু করব।"
উল্লেখ্য উত্তর দিনাজপুর জেলায় ৬৩ টি বটলিফ ফ্যাক্টরি রয়েছে। সেখানে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
Islampur
বোনাসের দাবিতে বৈঠকও মিলল না পথ, লড়াই চলবে জানালেন নেতৃবৃন্দ

×
Comments :0