বিভিন্ন পৌরসভায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে মুখ্যত অস্থায়ী কর্মী। স্থায়ী কর্মীরা অবসর নিলে সেই জায়গায় অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। আর স্থায়ী কর্মীরা অবসর নিলে পেনশনের অর্থ ঠিক করে পাচ্ছেন না।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা মিউনিসিপাল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভায় এই নীতির প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সভা হয়েছে ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ এবং ২০ মে সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে। সাধারণ সভা হয় পানিহাটি লোক সাংস্কৃতিক ভবন নজরুল মঞ্চে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলার সভাপতি শিবরাম রায়। এই সাধারণ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সিআইটিইউ জেলা সম্পাদক গার্গী চ্যাটার্জি।
তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যে আসীন হওয়ার পর এমনই দশা বিভিন্ন পৌরসভার, বলেছেন পৌরকর্মী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
মিউনিসিপাল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি দীপক মিত্র এবং সংগঠনের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব দে ছিলেন সভায়। ছিলেন গণ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় উঠে এসেছে পৌরকর্মীদের সঙ্কটের নানা দিক। দাবি উঠেছে, অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ী কর্মীর মানে বেতন দিতে হবে। কারণ, তাঁরা স্থায়ী ধরনের কাজই করছেন। স্থায়ী কর্মচারীরা অবসর গ্রহণ করলে সেই জায়গায় অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। অনেক পৌরসভায় অবসরের পর পেনশন পাচ্ছেন না। যে পেনশন দেওয়া হয় তাতে তাদের ওষুধ কেনার মতো অবস্থা থাকছে না। ন্যূনতম পেনশন দেওয়ার দাবিও উঠেছে।
সভায় দাবি উঠেছে শ্রমকোড বিরোধিতারও। ২০ মে সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন জানানো হয়েছে। স্মার্ট মিটারের বিরোধিতা, কৃষকদের উৎপাদিত সবজির ন্যায্য মূল্য দেওয়া এবং কৃষকদের সহজ কিস্তিতে ঋণ প্রদান করার দাবিকেও সমর্থন জানান পৌরকর্মীরা। এই দাবি নিয়ে প্রচারেও নামছেন তাঁরা।
Brigade: Municipal Employees
ব্রিগেডের প্রস্তুতি: লাগাতার অস্থায়ী নিয়োগ নয়, দাবি পৌরকর্মীদের

×
Comments :0