SIR

ফেলে আসা ভিটেয় ফেরার হিড়িক, সীমান্তে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ

জেলা

উত্তর ২৪পরগনার বিরাটী বেলঘরিয়া সহ রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে দ্যিব্যি কাটছিল পরিচারিকার কাজ দিনমজুরী সহ অন্যান্য কাজ নিয়ে। বাদ সাঁধলো স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন(এস আই আর)। তাই লোটা কম্বল গুটিয়ে এখন দেশে ফেরার তাগিদে সীমান্তের গ্রামে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষায় শয়ে শয়ে বাংলাদেশী। তাদের মধ্যে আছেন যেমন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, তেমনি শিশুরা। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার হাকিমপুর সীমান্তে সোনাই নদীর পাড়ে এমনই ছবি ধরা পড়লো সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। দুচার দিন হলো সীমান্তে দিন কাটছে আইনি জটে আটকে। অপেক্ষা পুশব্যাকের।
এপারে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ওপারে বাংলাদেশের বিবিজি‌। মাঝে বয়ে গেছে শান্ত সোনাই নদী। হাত বদলের প্রক্রিয়ায় আইনি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, পাশাপাশি অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে বছরের পর বছর ধরে তাদের বসবাস করা নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং সীমান্তে বিএসএফের নজরদারির বিষয়টি নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআরের কাজ। চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ হেন পরিস্থিতিতে ফেলে আসা ভিটেয় ফেরার হিড়িকে স্বরগরম সীমান্তের গ্রাম স্বরূপনগর। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এদিন জানা গেল, পেটের জ্বালায় রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসা। দালালের হাতে টাকা গুনে ছড়িয়ে পড়ে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে। কেউ পরিচারিকা কেউ নির্মাণ শিল্পে আবার কেউ কাগজ কুড়ানি হিসাবে আয়ের সংস্থান করে দিন গুজরাচ্ছিলেন। যাদের মধ্যে সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান (বিশেষ কারণ বশতঃ নাম পরিবর্তিত) পরিবার নিয়ে ছয় থেকে সাড়ে ছয় বছর কাটিয়েছেন এই দেশে। এই রাজ্যে এবং ভিনরাজ্যে তাদের কেউ কেউ ৬-৭বছর কাটিয়েছেন আবার, কেউ কেউ কাটিয়েছেন তারও অনেক বেশি সময়। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন সীমান্তে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। যাদের অনেককেই ইতোমধ্যে বিবিজির হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
রাজশাহী জেলার বাসিন্দা ময়না বিবি। সন্তান সন্ততি নিয়ে অরক্ষিত সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে আসে। শেষে পৌছান হুগলি জেলার ডানকুনিতে। সেখানে দীন মজুরি করে দিন চালাতেন। তিনবছর থাকার পর দেশে ফিরে যাবেন। কেন? এখানে তো আর বাংলাদেশের লোকদের থাকা যাবে না। বৈধ কাগজপত্র আছে? না। সেকারণে দেশে ফিরে যাচ্ছি। প্রশাসন আমাদের তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুক।

Comments :0

Login to leave a comment