Illegal liquor shop

পুলিশ-প্রশাসন, কাউন্সিলরকে বলেও মেলেনি সুরাহা, বেআইনি মদের দোকান ভাঙলেন মহিলারাই

জেলা

প্রশাসন, তৃণমূলের কাউন্সিলর সহ নেতাদের বারে বারে দরবার করেও মেলেনি সুরাহা। রণংদেহি মেজাজে খড়গপুর শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের বারবেটিয়া এলাকার পূর্ব পাড়ার লোকালয়ে বেআইনি ভাবে গজিয়ে ওঠা মদের দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলো সর্বস্বান্ত হওয়া একাধিক পরিবারের মহিলারা। 
উষা কুলভি, শ্যামলী লোহাররা বলেন, "চাই না লক্ষ্মী ভান্ডারের এক হাজার টাকা। আগে লোকালয় থেকে বেআইনি ভাবে গজিয়ে ওঠা মদের দোকান বন্ধ করুক সরকার। তাতে আমরা  ভালো থাকবে। প্রতিদিন একশ থেকে তিনশ টাকার মদ খাচ্ছে ঘরের পুরুষরা। নেশায় ডুবে কিশোর, যুবকরাও। সংসারে লেগে রয়েছে অশান্তি। সঙ্গে গ্রাস করছে শারীরিক নানা অসুস্থতা। অভিযোগ, বছরখানেক আগেই মৃত্যু হয়েছে একজনের। এদিকে, পুলিশ ও প্রশাসনে জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি! রবিবার মধ্যরাতেই এলাকার মহিলারা লাঠি হাতে অবৈধ মদের দোকান সহ পেটি পেটি মদের বোতল, ফ্রিজে থাকা পাউচ বোতল সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন। দোকান ঘরের মেঝে গড়িয়ে মদের স্রোত বেয়ে চলে সড়ক রাস্তায়। 
উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বাধা দিতে এলে এক ব্যক্তিকেও রীতিমত ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, এই এলাকায় কোনও অবৈধ মদের কারবার চলবে না। 
অভিযোগ, বছরখানেক আগেই এক যুবকের মৃত্যু হয় অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে। এছাড়াও এলাকার অনেক পুরুষেরই লিভারের অসুখ, টিবি সহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। শ্যামলী গায়েন নামে এক মহিলা বলেন, ''আমার দুই ছেলে আছে। মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে স্বামীর টিবি হয়। ডাক্তার দেখালাম। একটা ভ্যান রিকশা ছিলো, সেটাও বিক্রি করে দিয়েছে স্বামীর মদের জন্য। তারপরেও ধারদেনা করে মদ খাচ্ছে। প্রতিদিন অশান্তি হচ্ছে।'' 
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর আশা দোলই সহ একাধিক তৃণমূল নেতাদের জানিয়েও পাড়ার মধ্যে লোকালয়ে মদের দোকান বন্ধ করা যায়নি। পুলিশ প্রশাসনেরও মদত রয়েছে বলে মহিলাদের অভিযোগ। তাতে তৃণমূল নেতাদেরও সায় রয়েছে এবং মাসিক তোলা নেয়। এতবড় ঘটনা ঘটলেও এলাকায় পুলিশ প্রশাসন না গিয়ে নির্বিকার থেকেছে বলে স্থানীয়দের ক্ষোভ।

Comments :0

Login to leave a comment