শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের নিজস্ব জমি হস্তান্তর, শিলিগুড়ি শহরে বেহাল নাগরিক পরিষেবার শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের সার্বিক ব্যর্থতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সহ তৃণমূলীদের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে বুধবার সিপিআই(এম) দার্জিলিঙ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সভা করা হয়। পৌর কর্পোরেশনের সামনে এই সভা চলে দীর্ঘক্ষণ। এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সমনপাঠক প্রবীণ সিপিআই(এম) নেতা জীবেশ সরকার, রাজ্য কমিটির সদস্য গৌতম ঘোষ ও ময়ূখ বিশ্বাসসহ নেতৃবৃন্দ।
এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে আওয়াজ উঠেছে ‘ব্যর্থ মেয়র গদি ছাড়ো, দুর্নীতিগ্রস্ত, ব্যর্থ তৃণমূল পরিচালিত পৌর বোর্ড হটাও, শিলিগুড়ি বাঁচাও’। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনে তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠনের পর থেকেই বেহাল হয়ে পড়েছে শহরের নাগরিক পৌর পরিষেবা। শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি নয়, দুর্নীতি বন্ধ করে অবিলম্বে শিলিগুড়িবাসীকে সঠিক পৌর পরিষেবা প্রদানের দাবি উঠেছে বিক্ষোভ সভা থেকে। সভার পর বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল করে কর্পোরেশনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়।
সিপিআই(এম) দার্জিলিঙ জেলা সম্পাদক সমন পাঠক বলেন, "এই সময়কালে আমরা ধারাবাহিকভাবে কর্পোরেশনের বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছি। সার্বিক ব্যর্থতা নিয়ে শিলিগুড়ি কর্পোরেশন চলছে। চরম দুর্নীতি চলছে। বিগত বামফ্রন্ট বোর্ডের সময়কালে উন্নয়নের পুরোনো কাজের ওপর প্রলেপ লাগিয়ে এই বোর্ড নিজেদের কাজ বলে চালাচ্ছে। তৃণমূল পরিচালিত পৌর বোর্ড এই সময়কালে উন্নয়নের নতুন কোনও কাজই করতে পারেনি। শহর জুড়ে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা। উন্নয়ন স্তব্ধতা ও পানীয় জলের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলেনি শহরবাসীদের। জমি কেলেঙ্কারি ও সীমাহীন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের কাউন্সিলাররা।" ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে অবিলম্বে বোর্ডের মেয়রকে পদত্যাগের দাবি জানান তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগামী দিনে লড়াই আন্দোলনকে আরও তীব্র করার আহ্বান জানান তিনি।
সিপিআই(এম)'র পরিষদীয় দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, "শিলিগুড়ি শহরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না দায়িত্বপ্রাপ্ত বর্তমান পৌরবোর্ড। প্রমোটার, ডেভেলপার ও জমি মাফিয়াদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে বোর্ড। সাধারন মানুষের উন্নয়ন ও পৌর পরিষেবা উপেক্ষিত থাকছে। শহরের সার্বিক উন্নয়ন স্তব্ধ। পাশাপাশি দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে ওই পৌর বোর্ড। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের গরীবের স্বার্থ বিরোধী একের পর এক কার্যকলাপ বিস্তৃতভাবে তুলে ধরে বলেন, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো বর্তমান পৌরবোর্ড। একটিও পূরন হয়নি। মানুষ বুঝতে পারছেন তারা প্রতারিত হয়েছেন। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের বামফ্রন্টের পরিচালিত বোর্ডের সময় ডিসিআর কাটা সত্ত্বেও ৬৪১জনের পাট্টা দেবার কাজ আজও উপেক্ষিত থেকে গেছে। উন্নয়ন বন্ধ করে খেলা, মেলা, কার্নিভালে মেতে রয়েছে।"
এদিনের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য গৌতম ঘোষ ও ময়ূখ বিশ্বাসসহ নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ :0