Pratibandhi Sammilani Jalpaiguri

আন্দোলনেই বিশেষভাবে সক্ষমদের প্রাপ্য আদায় করতে হবে এরাজ্যে: কান্তি গাঙ্গুলি

জেলা

ময়নাগুড়িতে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর জলপাইগুড়ি জেলা সম্মেলনে কান্তি গাঙ্গুলি। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

একটা সময় ছিল যখন বিশেষভাবে সক্ষমদের নিয়মিত লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হতো। বাধা দেওয়ার উপায় ছিল না। দীর্ঘ আন্দোলনের চাপে আজ দেশে আইন হয়েছে। এমন অবমাননা এখন আইনের চোখেই অপরাধ।  
জলপাইগুড়ি জেলা প্রতিবন্ধী সম্মেলনের নবম সম্মেলনে ময়নাগুড়িতে এই কথাগুলি বলেন রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনের সভাপতি কান্তি গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, এরাজ্যে বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকরা নির্ধারিত বহু সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না।  
যাতায়াতে ভাড়ায় ছাড় থেকে একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনায় বঞ্চনার উল্লেখ করেন তিনি। 
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফালাকাটা থেকে বাসে ওঠার সময় প্রতিবন্ধীদের জন্য জায়গা নেই বলে উঠতে বাধা দেন কন্ডাকটর। ‘আইন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী মানুষকে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক’, একথা বলে বাসে ওঠেন ওই যাত্রী। কিন্তু ফালাকাটা ডিপোর অধিকর্তা কেড়ে নিয়েছিলেন তাঁর ক্র্যাচ। ময়নাগুড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ জমা করতে গেলে অভিযোগকারীর অভিযোগ নেয় ময়নাগুড়ি পুলিশ। রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনের জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃবৃন্দ পাশে দাঁড়ানোর পরে ফালাকাটা ডিপোর ইনচার্জ এসে ময়নাগুড়ি থানায় ক্ষমা চেয়ে ভুল স্বীকার করে। 
অবিলম্বে প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০০ টাকা করা, আবাস যোজনা সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্পে প্রতিবন্ধী মানুষদের সরকারি নিয়মে প্রাপ্য অধিকার সুরক্ষিত করা, নতুন করে ১০০ দিনের কাজ চালু করা, সমস্ত হাসপাতাল ও ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ইউডিআইডি কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা সহ ৭ দফা দাবিতে জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা শতাধিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ময়নাগুড়ির দেবীনগর বেসিক স্কুলে রহমান শেখ নগর, পপির রায় মঞ্চে হয়েছে সম্মেলন। 
সম্মেলনে রাজ্য নেতৃত্বান্তিক গাঙ্গুলির পাশাপাশি অংশ নেন কৃষক আন্দোলনের নেতা সলিল আচার্য, শ্রমিকনেতা পীযুষ মিশ্র, খেতমজুর নেতা হরিহর রায়বাসুনিয়া, মহিলা নেত্রী মিতালী সরকার, গণআন্দোলনের নেতা অপূর্ব রায়ও। 
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া শরিফুল ইসলাম, গোবিন্দ হাজরা থেকে সোয়েবুল হক-  সকলের বক্তব্য, গ্রাম পঞ্চায়েতে কুয়ো, নলকূপ থেকে শুরু করে পশুপালনের মতো প্রকল্পে প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। গোটা জলপাইগুড়ি জেলার কোথাও তা হয় না। 
সম্মেলন শেষে জয়দীপ চক্রবর্তীকে সভাপতি ও রঞ্জিত কুমার রায়কে সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১ জনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

Comments :0

Login to leave a comment