Protest Rally

প্রতিবাদ মিছিলে আসছেন রাত দখলে অংশগ্রহণকারীরা

রাজ্য

তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের দ্বারা প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্য নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর ও পুলিশের নির্লজ্জ নীরবতার সাক্ষী রইল রাজ্য। নির্যাতিতার দোষীদের শাস্তির দাবিতে ,গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কে ভাঙার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ১৫ আগস্ট প্রতিবাদ দিবস। এদিন বেলা সাড়ে তিনটায় শিয়ালদা থেকে শ্যামবাজার প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে ছাত্র যুব ও মহিলাদের উদ্যোগে। জমায়েতের স্থান শিয়ালদা স্টেশন বিগবাজার।

রাত সাড়ে বারোটার পর আরজি করে পুলিশ -  তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা ও ভাঙচুরের খবর শুনে রাত দখলে অংশগ্রহণকারীরা সর্বত্রই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। জানিয়েছেন প্রতিবাদ মিছিলে আসবেন তাঁরা।

আর জি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বুধবার রাতে রাস্তায় নেমে অভূতপূর্ব বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন গোটা পশ্চিমবঙ্গ।

সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে জমায়েত রাত যতই বেড়েছে জেগে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে তথা গোটা ভারত। বাড়তে থাকে ভিড়। রাস্তার দখল নিতে শুরু করে মহিলারা। রাজ্যের প্রতিটি কোণায় কোণায় চলে জমায়েত। দিল্লি, মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুও রাত জাগছে আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবিতে। ব্যানার, ফেস্টুন হাতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ লক্ষ মহিলা। তাদের সঙ্গ দিয়েছেন পুরুষরাও। মশাল, মোবাইলের টর্চ জ্বেলে স্লোগান দিয়েছেন সুবিচার চাই ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। 

মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও পৈশাচিকভাবে খুনের ঘটনার অপরাধীদের কঠিন শাস্তি  এবং এবং সর্বত্র মহিলাদের নিরাপত্তা অধিকারের দাবি জানিয়ে রাতের দখল নেওয়া কর্মসূচি হয় প্রতিবাদী গানে কবিতায় ক্যানভাসে প্রতিবাদী ছবির অঙ্কনের মধ্যে দিয়ে। বিটি রোডের সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে ছিল মহিলা ও জনসাধারণের ঢল। বিটি রোডের ডিভাইডার উপচে দুই দিকেই জমায়েত ছড়িয়ে পরে। নিহত মহিলা চিকিৎসকক পানিহাটির বাসিন্দা। তাই ওই অঞ্চলে বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে ওই অঞ্চলের সব মহলেই। কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিটি রোডে ছিল উপচে পড়া জমায়েত। বেলঘরিয়া ফিডার রোডের বাটার মোর, উত্তর দমদম, নাগেরবাজার মোড় থেকে আড়িয়াদহের শখেরবাজারে রাতের দখল নেওয়ার সমাবেশ হয়। এমনকি দক্ষিণেশ্বরের দোলপিরি থেকে   স্বতঃস্ফূর্ত  মিছিল শুরু হয়। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ধ্বনি দিয়ে মিছিলটি আশপাশের এলাকা পরিক্রমা করে। নানান বয়সের পেশাজীবী মহিলারা সহ গৃহবধুরা এবং বহু মানুষ অংশগ্রহণ করে এই কর্মসূচিতে। এদিন  কলকাতা সংলগ্ন এলাকায় রাত দখলে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, "দোষীদের আড়াল করতে প্রমাণ লোপাটের সব রকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। হামলার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে সিবিআই ও পুলিশের ভূমিকায় নিয়ে৷ কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না৷ কার্যত তাণ্ডব চালানো হয় হাসপাতালে। হাসপাতালের ভিতরে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডেও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজও থাকবো বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে।"

Comments :0

Login to leave a comment