JALPAIGURI CPI(M) JUMMAGANJ

ঘরে ফিরলেন মিথ্যা মামলার শিকার জুম্মাগঞ্জের সিপিআই(এম) কর্মীরা

জেলা

আদালতে রায়ের পর ঘরছাড়ারা সিপিআই(এম) পতাকা হাতে।

এক মাস বাড়ি ছাড়া থাকার পর জলপাইগুড়ি মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে জামিনের নির্দেশ নিয়ে ঘরে ফিরলেন জুম্মাগঞ্জ এলাকার সিপিআই(এম) কর্মীরা। ৮ জুলাই, পঞ্চায়েত ভোটের দিন সকাল থেকেই অশান্তি শুরু হয়েছিল জুম্মাগঞ্জ বুথ ও সন্ন্যাসী কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায়।

ওই এলাকায় বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মহিলাদের শ্লীলতাহানির মতো ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর চালায়। পুলিশ দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ছিল। 

তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি এলাকার ছোট শিশুরাও, লাঠির ঘায়ে তাদেরও মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।। পরবর্তীতে আক্রান্তদের নামেই বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যা মামলা রুজু করে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। 

ওই এলাকার শতাধিক সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থক মিথ্যা মামলার কারণে বাড়িতে ঢুকতে পারছিলেন না। গত রবিবার আইনজীবী সংগঠনের সংগঠনের পক্ষ থেকে সরেজমিনে এলাকার পরিস্থিতি দেখে রাজগঞ্জ থানার আইসি’র কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পুলিশ চাপে পড়ে। আইনজীবীরা রাজগঞ্জের আইসি’র সঙ্গে দেখা করে বলেন যে পুলিশ যদি অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারে তাহলে পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া হবে। বিডিও, এসডিও-রা আদালতের শাস্তির মুখে পড়ছে। পুলিশেরও সেই অবস্থা হবে।

এরপর সাজানো মামলা নিয়ে আর এগোয়নি পুলিশ। পরদিনই এলাকায় গিয়ে থানা জানায় যে ঘরছাড়ারা ঘরে ফিরলে গ্রেপ্তার করা হবে না।

আইনজীবীদের তরফে আক্রান্তদের হয়ে আইনি লড়াই করেন এআইএলইউ’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শংকর দে, প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক রায়,  সমীর দাস, বিকাশ রায় সহ অন্যান্য আইনজীবীরা।

আক্রান্ত এবং ঘরছাড়াদের অন্যতম আব্দুল কাশেম বলেন, ‘‘সিপিআই(এম) জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং আইনজীবীরা যেভাবে পাশে থেকেছেন ভোলার নয়।’’

সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য প্রদীপ দে ও জেলা নেতা বিপ্লব ঝা বলেন, ‘‘পুলিশ ও তৃণমূলের যৌথ আক্রমণের শিকার হয়ে এতদিন ঘর ছাড়া ছিলেন সন্ন্যাসী কাটা ও জুম্মাগঞ্জ এলাকার পার্টি কর্মীরা। আজ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় জামিনের পর ঘরে ফিরছেন। এই লড়াইয়ে সর্বতোভাবে থেকেছেন কর্মচারী, শিক্ষক, মহিলা আন্দোলনের কর্মীরা। আমরা ওঁদের পাশেই দাঁড়াবো ভবিষ্যতেও।’’

Comments :0

Login to leave a comment