ধীমান রক্ষিত
নয়া শিক্ষানীতি বাতিল করতেই হবে। না হলে প্রান্তিক অংশের প্রতিটি ছেলেমেয়ে শিক্ষার আঙিনা থেকে দূরে সরে থাকবে। মঙ্গলবার হায়দরাবাদে এসএফআই সর্বভারতীয় সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে এই আহ্বান জানিয়েছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
এসএফআই’র ১৭দশ সর্বভারতীয় সম্মেলনে এদিন ছাত্রছাত্রীদের ঢল দেখেছে হায়দরাবাদ। কোনও কোনও মিছিলে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে চলেছে গান। ছাত্রছাত্রীরা তুলেছেন স্লোগান।
সরকার বলেছেন, ‘‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের নয়া শিক্ষানীতি আদিবাসী, দলিত, সমাজের প্রান্তিক সব অংশকে পিছনে ঠেলে দেবে। শিক্ষায় অভিজাততন্ত্র তৈরি করবে। শিক্ষার গণতান্ত্রিক অভিমুখ ধ্বংস করে দেবে। এই বিপদকে রুখতে হবে।’’ সিপিআই(এম)’র এই পলিট ব্যুরো সদস্যের আহ্বান, ‘‘নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলে সবচেয়ে বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’’
এসএফআই ধারাবাহিক ভাবে জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িকীকরণের পাশাপাশি তুমুল বাণিজ্যিকীকরণের প্রস্তাব এই শিক্ষানীতির ছত্রে ছত্রে। সরকার বলেছেন, ‘‘বেসরকারি হাতে সব কিছু বেচে দেওয়া হবে। সরকার শিক্ষাত দায়িত্ব নেবে না। বস্তুত সমাজ এবং অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই এমন মারাত্মক কার্যক্রম চলছে।’’
ট্রেড ইউনিয়নের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া, কৃষকদের ওপর মারাত্ম আঘাত নামানো, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান কবজা করে নেওয়ার বিপদ সম্পর্কেও সচেতন করেন সরকার। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে দুর্বার কৃষক আন্দোলন প্রবল পরাক্রমশালী সরকারকে পিছে হটতে বাধ্য করেছিল। লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলেন শ্রমজীবী সব অংশ। রাজ্যগুলির ওপর আক্রমণের দিকেও নজর দিতে বলেন তিনি।
সরকার বলেন, ‘‘স্বৈরাচারী মনোভাব থেকে রাজ্যগুলির ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস’র সরকার। তার বিরুদ্ধে সমবেত হতে হবে।’’
সন্ধ্যায় ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেগোর অডিটোরিয়ামে শুরু হয়েছে সম্মেলনের প্রতিনিধি অধিবেশন। উদ্বোধন করছেন বিচারপতি চন্দ্রু। যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও জরুরি কারণে আসতে পারেননি সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। তিনি অভিনন্দ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন।
(ছবি: অমিত কর)
Comments :0