ধীমান রক্ষিত
জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন তীক্ষ্ণ করার ডাক দিয়েছে এসএফআই। হায়দরাবাদে সর্বভারতীয় সম্মেলনে ডাক দেওয়া হয়েছে বিকল্প শিক্ষানীতির পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলারও।
শুক্রবার শেষ হয়েছে সম্মেলন। প্রতিনিধিদের আলোচনার শেষে জবাবী ভাষণ দেন সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে লড়াই তীব্র করতে হবে। শিক্ষার সাম্প্রদায়িকীকরণের বন্দোবস্ত করেছেএই শিক্ষানীতি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নীতিতে বেসরকারি হাতে শিক্ষাকে তুলে দেওয়া ব্যবস্থা পাকা করা হয়েছে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রুখতে হবে। তা না হলে হাতে গোনা কয়েকজন কেবল শিক্ষার সুযোগ পাবে।
শুক্রবার হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ ছাত্রনেতাদের মিছিল করে শ্রদ্ধা জানান প্রতিনিধিরা। স্মরণ করা হয় স্বপন কোলেকে।
আগামী আন্দোলনের লক্ষ্য জানিয়ে সম্মেলনে জোর দেওয়া হয়েছে পাঠক্রমে সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী বিষয় ঢোকানোর প্রতিবাদেও। জোর দেওয়া হয়েছে ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে। পড়াশোনার খরচ মারাত্মক। সাধারণ পরিবারগুলির পক্ষে সামলানো অসম্ভব হয়ে উঠছে। পড়াশোনার খরচ কমানোর পক্ষে সরকারকে বাধ্য করার মতো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে এসএফআই’র সপ্তদশ সর্বভারতীয় সম্মেলন।
সম্মেলন থেকে নির্বাচিত হয়েছে ৮১ জনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ময়ূখ বিশ্বাস এবং ভিপি সানু। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য (যুগ্ম সম্পাদক), প্রতিকুর রহমান (সহ সভাপতি), নবনীতা চক্রবর্তী, দীপ্তজিৎ দাস, আকাশ কর, অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী, দেবাঞ্জন দে, প্রণয় করজি, বেদত্রয়ী গোস্বামী, মধুশ্রী মজুরদার, অনির্বান রায়চৌধুরী।
(ছবি: অমিত কর)
Comments :0