প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে প্রতিবাদী চাকরি হারা শিক্ষকদের। তার প্রতিবাদে রবিবার রাজ্যের সর্বত্র নাগরিক সমাজকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন চাকরি হারানো শিক্ষকরা।
এদিন সকালে শিয়ালদহ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আটক করে ভ্যানে তোলে পুলিশ।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার মাঝরাতেই নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে পড়ানোর অভিজ্ঞতা ও ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার জন্য, এই দু’টি ক্ষেত্রে দশ নম্বর করে, মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে। এই দু’টিই এসএসসি’র পরীক্ষায় নতুন সংযোজিত হয়েছে। তবে চাকরি হারানো শিক্ষকরা মনে করছেন যে এই ব্যবস্থায় তাঁরাই বিশেষ সুবিধা পাবেন এমন নয়।
শুক্রবার তাঁরা এই বিষয়ে বলেছেন, যে প্যারা টিচার বা সেট টিচারদেরও পড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে এই ২০ নম্বরের সুবিধা চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারাই পাবেন এমন নয়। চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওএমআর শিট ২ বছর রাখবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মিরর ইমেজ ১০ বছর পর্যন্ত রাখা হবে। ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলার কারণ দেখিয়েই হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে সরকার বা কমিশন জানায় যে ‘যোগ্য‘ এবং ‘অযোগ্য’ তালিকা দেওয়া সম্ভব নয়। যোগ্যদের চিহ্নিত করতে সরকার এবং কমিশন অস্বীকার করার কারণেই বাতিল হয়ে যায় প্যানেল। লক্ষ্যণীয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না করেই, নিজেদের অন্তর্বর্তী প্রশাসনিক নির্দেশকে অজুহাত করে, ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলার ঘোষণা আদালতে করেছে কমিশন।
শুক্রবার এসএসসি ভবনের সামনে অবস্থান মঞ্চ থেকে চাকরিহারা শিক্ষকরা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, আমাদের কর্মসূচি আগে থেকেই জানানো ছিল। কাল আমরা পুলিশকে মেল করে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আজ বলেছে যে কোনও অনুমতি ছিল না। পুলিশের তরফে মিথ্যে বলা হয়েছে।
তাঁরা বলেন, প্রতিবাদী শিক্ষক শিক্ষিকাদের খুঁজে খুঁজে বের করা হয়েছে। পুলিশ স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে। নির্দোষ নিরাপরাধ প্রায় ১৫০ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ‘ধিক্কার দিবস’ পালন করা হবে রাজ্য জুড়ে নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে।
সাংবাদিক সম্মেলন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে তাঁরা।
এই শিক্ষকরা এদিনও বলেছেন যে রাজ্য সরকার ও এসএসসির দুর্নীতির কারণে তাঁদের চাকরি গেছে।
এদিকে পুলিশ বলেছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কিন্তু এই দাবিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা বলেন মিছিল করলে তবেই তো আইন-শৃংখলার ব্যাপার হয়। সংগঠিত করতে দেওয়া হয়নি। জমায়েত করার আগেই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে। চাকরিপ্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন পুলিশ আজ মানুষকে হেনস্থা করেছে। সাধারণ পথ চলতি মানুষকে আটকে তাদের থেকে পরিচয় পত্র দেখে তাঁদের হেনস্তা করেছে।
SSC Teachers
গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে রবিবার বিক্ষোভ, চাকরিহারা শিক্ষকদের ক্ষোভ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতেও

×
Comments :0