প্রায় বন্ধই হয়ে রয়েছে কলকাতার ট্রাম। পরিকল্পনা করে একের পর এক ট্রামডিপোর জমি তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি হাতে। কলকাতা ট্রাম কোম্পানির দেড়শো বছরে তৃণমূল সরকারের এই মতলবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হবে সর্বত্র।
বুধবার সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার জানিয়েছেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি সব ট্রাম ডিপোতে হবে বিক্ষোভ। বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত চলবে অবস্থান। দাবি, কলকাতায় ফের চালু করতে হবে ট্রাম।
১৮৭৩’র ২৪ ফেব্রুয়ারি চালু হয়েছিল ট্রাম। এ বছর ওই দিন দেড়শোতে পা রাখছে কলকাতার এই দূষণহীন যান। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কল্লোল মজুমদার সেই ইতিহাস মনে করিয়ে বলেছেন, ‘‘জমি মাফিয়া আর আবাসন ব্যবসায়ীদের বিপুল মুনাফা লোটার বন্দোবস্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। ৩৭টি রুটে ট্রাম চলত। এখন বালিগঞ্জ-শ্যামবাজার রুট ছাড়া বাকি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতে বহু মানুষের ভরসা ট্রাম। এই যান ফের চালু করতে হবে।’’
পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকার নিয়ম করে প্রতি বছর বাজেটেই ট্রামের জন্য অর্থ বরাদ্দ করত। ২০০৭-০৮ অর্থবর্ষে প্রায় একশো কোটি টাকায় শহরের বিভিন্ন ট্রাম লাইন কংক্রিটের করা হয়। মজুমদার বলেছেন, ‘‘ তৃণমূল সরকারের মেয়াদে বাজেট বরাদ্দ নেই। ট্রাম বন্ধ করার ব্যবস্থা হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিপুল আয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে সরকারি সম্পদ বেচে।’’
ট্রাম কোম্পানিতে কর্মরত, স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে, প্রায় ৭ হাজার কর্মীও। সিপিআই(এম) প্রশ্ন তুলেছে, বড় সংখ্যার এই কর্মীদের নিয়েই বা সরকারের পরিকল্পনা কী?
Comments :0