সুরাটে বিজেপি’র বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ‘জয়’ আসলে সংবিধান, গণতন্ত্রকে শেষ করার নমুনা। দলের প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়ন খারিজ এবং বিজেপি’র জেতাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস প্রার্থীর মনোনয়ন খারিজ হওয়ার পর বিকল্প প্রার্থীও দাঁড় করিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু গুজরাটের এই কেন্দ্রে দলের বিকল্প প্রার্থীর মনোনয়নও খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। ফরমে প্রস্তাবকদের হাতের লেখায় অসঙ্গতির অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপর অন্য সব প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করেন। বস্তুত বিজেপি’র প্রার্থী মুকেশ দালাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী।
সোমবার কংগ্রেস বলেছে, ‘‘পুরোটাই ‘ম্যাচ ফিক্সিং’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এমন কারসাজি করতে হচ্ছে কারণ তিনি ভয়ে আছেন। হেরে যাওয়ার ভয়।’’
সেই সঙ্গে কংগ্রেস বলেছে, ‘‘কেন এই নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র, দেেশের সংবিধান বাঁচানোর লড়াই, সুরাটের ঘটনাক্রমই তা স্পষ্ট করছে।’’
কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশও এদিন সংবিধান বদলের প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশজুড়ে মোদীর অনুগামীরা ‘চারশো পার‘ স্লোগান তুলছে একটি নির্দিষ্ট বার্তা দেওয়ার চেষ্টায়। বলতে চাইছে যে এবার এত আসনে জিতবে বিজেপি যে সংবিধান বদলানো সমস্যা হবে না।’’
রমেশ বলেছেন, ‘‘বাবাসাহেব আম্বেদকরের নেতৃত্বে তৈরি সংবিধান বদলাতে চায় বিজেপি। সামাজিক ন্যায়ের নির্দেশকে অমান্য করতে চায়। চায় যাতে সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া যায়।’’
মোদী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ দু’জনেই বিভিন্ন জনসভায় এখন দাবি করছেন যে সংবিধান বদলানোর ইচ্ছা নেই। কংগ্রেসের বক্তব্য, সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আক্রমণ জনতা দেখেছেন। সংবিধানের ওপর আক্রমণ দেখেছেন। সে কারণে এই আশ্বাস দিতে হচ্ছে মোদীকে। নিজে বলছেন না, কিন্তু দলের অন্য নেতাদের দিয়ে বলাচ্ছেন যে সংবিধান বদলানো হবে।
Comments :0