বেলঘরিয়ার পূব পাড়ার প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকায় এক পরিবারের তিন ভাই বোনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে তীব্র চঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে । পুলিসের প্রাথমিক অনুমান , তিনজনই আত্মহত্যা করেছেন। তবে , আত্মহত্যার কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ভাই , বোনকে খুন করে দাদা আত্মঘাতী হয়েছেন , নাকি তিনজনই আত্মঘাতী, সে বিষয়ে এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। তিন জনের মধ্যে
একজনের দেহ ভাসছিল পুকুরে। দুইজনের দেহ উদ্ধার হয় ঘরের মধ্যে। পুলিস সূত্রে জানা গেছে , মৃত তিনজনের নাম, বিমল চৌধুরী , সজল চৌধুরী ও রানু চৌধুরী। দিদি , রানু চৌধুরী খুবই অসুস্থ ছিলেন। সজল চৌধুরীর বাজারে অনেক দেনা ছিল। তাঁদের বাবা এবং মা আগেই প্রয়াত হয়েছেন । অপর এক ভাই জীবিত রয়েছেন। তিনি কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন। মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে পুলিস , ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।
প্রতিবেশিরা বলছেন , সঠিক ভাবে ময়না তদন্ত হলেই মৃত্যুর সময় গুলি জানা যাবে। আবাসনের ভিতরের ভাই ও দিদির দুই মৃতদেহ তদন্ত হলে আসল ঘটনা প্রকাশ পাবে। ওই দুই জনকে হত্যা করা হয়েছে । ঘর বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিলো। দরজা খুলে মৃতদেহ দুটি উদ্ধারের সময়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে । বড় দিদি ও ভাইকে মারার পরে সজল চৌধুরী পুকুরে নেমে আত্মহত্যা করেছে বলেই প্রতিবেশিদের অনুমান। তাঁরা বলেন, পাড়ার সকলেই জানে সজল সাঁতার জানতেন না। সজল চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রীয় কর্মী ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে সব রকম কাজেই ব্যবহার করেছে। বিগত পৌর নির্বাচনেও বুথ জ্যাম করা থেকে শুরু করে তৃণমূলের সব কাজেই তাঁকে দেখা গেছে। আগে সে এলাকার লোকজনের থেকে ধার করে টাকা পয়সা নিয়ে আর ফেরত দিতেন না। শেষদিকে তৃণমূলের একাধিক লোকজনের থেকে সে চড়া সুদের বিনিময়ে ধার নিয়ে শোধ দিতে না পাড়ায় তাদের হুমকির মুখে পড়েতে হয়েছিলো।
Comments :0