বারবার সিপিআই(এম)’র নেতা-কর্মীদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপাচ্ছে তৃণমূল। আমতায় তৃণমূলকর্মী খুনের দায় চাপানো সংক্রান্ত এক প্রশ্নে এই মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিআই(এম)’র এই কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য বলেছেন, তৃণমূলই তো তৃণমূলকে খুন করছে রাজ্যের সর্বত্র। লালঝাণ্ডাকে ভয় পেয়েছে বলেই মিথ্যা অভিযোগ চাপানো হচ্ছে। সত্য ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
আমতা থানার চাটরা মোল্লার পাড়ায় বাড়ি থেকে কিছু দূরে পুকুরে দেহ মেলে এক তৃণমূলকর্মীর। জানা গিয়েছে ওই তৃণমূলকর্মীরা নাম লালটু মিদ্দে।
রবিবার সকালে সল্টলেকে পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাইরে, এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে, সংবাদমাধ্যম এই বিষয়ে প্রশ্ন করে চক্রবর্তীকে। চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বারবার বামপন্থীদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল। শোনা যাচ্ছে আমতায় তারা নাকি সিপিআই(এম)’র বিরুদ্ধে থানায় গিয়েছে। এভাবে আর কতদিন সত্য ধামাচাপা দেওয়া হবে?’’
চক্রবর্তীর ব্যাখ্যা, ‘‘তৃণমূলকর্মীরা তৃণমূলের হাতেই নিরাপদ থাকছেন না। রাজ্যের সর্বত্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে। বারবার ধরা পড়ছে যে খুনোখুনির পিছনে বখরার ভাগাভাগি। মৃত্যুর ঘটনা দুঃখের। কিন্তু সত্যি কী খুঁজে দেখা হোক।’’
চক্রবর্তী মনে করিয়ে দেন যে আনিস খান হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদে শামিল হওয়ায় অনেককে পুলিশি হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আনিসের ঘটনার পরও একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে। বলা হতো, দূরবীন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন আসলে লালঝান্ডাকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
লুট, তোলাবাজি এবং তা নিয়ে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সরব হন চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, রাজ্যের মানুষ বিপর্যস্ত হচ্ছেন এই পরিস্থিতিতে। এক প্রশ্নে চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘নিয়মিত অডিও টেপ ছড়িয়ে পড়ছে। কখনও শোনা যাচ্ছে চাকরির জন্য টাকা নিয়ে কথা চলছে। কখনও অন্য কোনও কাজের জন্য।’’
ক্ষোভ জানিয়ে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আর কত টাকা খাবে তৃণমূল? বালি,পাথর, গরু, চাকরি, একশো দিনের কাজ, আবাসের ঘর- এবার তো বদহজম হবে।’’ এই প্রসঙ্গে চক্রবর্তীর সংযোজন, ‘‘সুরক্ষা কবচ বলছে তৃণমূল। এ রাজ্যে তো মানুষেরই সুরক্ষা নেই, তৃণমূলকর্মীদেরও সুরক্ষা নেই। দলের লোকেরাই খুন করছে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। উনি নিজের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত।’’
Comments :0