‘ঠোক দো’ আওয়াজ তুলেছিল যোগী আদিত্যানাথের পুলিশ। তাতে আদৌ ভয় পায়নি দুষ্কৃতীরা। বুধবার জৌনপুরে জমির বিবাদে খোলা তলোয়ার দিয়ে মাথা কেটে নেওয়া হলো এক কিশোরের।
ভয়ঙ্কর এবং মর্মান্তিক ঘটনায় রাজ্য তো বটেই, দেশেও ছড়িয়েছে ক্ষোভ। কিশোরের ঘাড়ে কোপ দেওয়া হয় মায়ের সামনে। ছিন্ন মস্তক কোলে নিয়েই বেশ কিছুক্ষণ বসে ছিলেন প্রায় চেতনা লুপ্ত মহিলা। 
পুলিশ জানিয়েছে, চার দশকের পুরনো জমির বিবাদ ঘিরে এই তাণ্ডব। জৌনপুর জেলার গৌরাবাদশাপুর থানার কবিরুদ্দিন গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ মারাত্মক হয় বুধবার। সশস্ত্র সংঘর্ষ শুরু হয়। 
রামজিত যাদবের পুত্র ১৭ বছরের অনুরাগকে তাড়া করে একদল দুষ্কৃতী। একজনের হাতে ছিল খোলা তলোয়ার। অনুরাগ ছুটতে ছুটতে কোনোরকমে ঘরে ঢুকে পড়ে। পিছু নিয়ে ঘরের মধ্যে মায়ের সামনে কোপ বসায় দুষ্কৃতী। মাথা ছিটকে পড়ে শরীর থেকে আলাদা হয়ে। 
পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেও অনুরাগকে হত্যায় দায়ী অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘‘অপরাধী এবং সরকারের মধ্যে অদ্ভূত সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। একদিকে দু’পক্ষই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলছে। আবার আরেকদিকে সরকার যতই কমজোর এবং নিষ্ক্রিব হচ্ছে এই অপরাধীদের দৌরাত্ম্যও বাড়ছে ততই। 
কয়েকদিন আগে কানপুরে একেবারে জেলাশাসকের বাংলোর পাশে মিলেছিল এক মহিলার দেহ।